অনাস্থা ভোটে টিকবেন কি ইমরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইমরান খান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফাইল ছবি

সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। তার বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে শুক্রবার (২৫ মার্চ) দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে খবর এসেছে তার দলের মিত্ররা অনাস্থা প্রস্তাবে বিরোধীদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে শরীকদের সন্তুষ্ট করতে এবং তাদের সঙ্গে বিষয় নিয়ে কাজ করতে শুরু করেছে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

universel cardiac hospital

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডন একথা জানায়।

ডন জানায়, পিটিআই নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল শেষ প্রচেষ্টা হিসাবে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) এর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

পাকিস্তান সরকারের একটি সূত্র ডনকে জানায়, পিটিআই-এর রাজনৈতিক কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মিত্রদের অবস্থান সম্পর্কে জানানো হয়। সেখানে বলা হয় জোটের অধিকাংশ দল বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ার এবং অনাস্থা প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জোট দলগুলোর প্রধানদের সঙ্গে দেখা করার জন্য সিনিয়র পিটিআই নেতাদের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি জোট নেতাদের আশ্বাস দিয়েছেন তাদের দাবি সমাধান করা হবে। ইমরান খান আশা করেন, মিত্ররা সরকারে ফিরে আসবে এবং ভোটের দিন জাতীয় পরিষদে তাকে সমর্থন করবে।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, আগামী কয়েক ঘণ্টা আমাদের জন্য ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ এই সময়ে রাজনৈতিক অস্পষ্টতা দূর হয়ে যাবে। আমি আশা করি কঠিন এই পরিস্থিতিতে জোট দলগুলো প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকবে।

গত মঙ্গলবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেডারেল এক মন্ত্রী বলেন, সরকার ‘সঙ্কটময় ও কঠিন’ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে বুধবার জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার, আসাদ উমর এবং পারভেজ খট্টকের সমন্বয়ে পিটিআই প্রতিনিধি দল এমকিউএম নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এ সময় এমকিউএম নেতারা পিটিআইকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার ব্যপারে বা তাদের অবস্থান কি হতে চলেছে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, এমকিউএম প্রধান রউফ সিদ্দিকী এবং ফেডারেল তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী সৈয়দ আমিনুল হকসহ অন্য জোটভুক্ত নেতারা মনে করেন, তিন বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও সরকার তাদের কোনো পরামর্শ ও দাবি শোনেনি।

সূত্র: ডন

শেয়ার করুন