অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খাতিবজাদেহ বলেছেন, ইসরায়েলের নীতি এবং তার প্রধান সহযোগী মার্কিন সরকার মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার নামে উপনবেশবাদী নীতি এগিয়ে নেওয়ার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ওআইসির কোনো কোনো সদস্য রাষ্ট্র তাতে সাড়া দিচ্ছে। এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মহলে বিপদ-ঘণ্টা হয়ে দেখা দিয়েছে।
গত কয়েক বছরে চারটি আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই চারটি দেশ হলো- আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ওই চারটি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে।
এ বিষয়টি নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করল ইরান। মুসলিম বিশ্বে এভাবে ইসরায়েলের ‘অনুপ্রবেশ’ রুখতে ওআইসির প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে ইরান।
এদিকে সারা বিশ্বের সামনে মুসলমানদের ভুল ভাবমূর্তি তৈরি করা হয়েছে বলে ওআইসি বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অভিযোগ তুলেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, টুইন টাওয়ারে হামলার পর থেকে বিশ্বে ইসলামোফোবিয়া বেড়েছে। আফসোস, মুসলিম দেশগুলো পরিস্থিতি উন্নতির কোনো চেষ্টা করেনি। সারা বিশ্বের সামনে মুসলমানদের একটি ভুল ভাবমূর্তি তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ কথা বলতে আমার খারাপ লাগছে, কিন্তু আমরা মুসলিম দেশগুলো তা দূর করার কোনো অর্থবহ প্রচেষ্টা করিনি। কীভাবে একটি ধর্মকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত করা যায়? কীভাবে এই পৃথিবীতে দুই ধরনের মুসলমান থাকতে পারে? কীভাবে? একজন উদারপন্থী মুসলমান এবং একজন কট্টর মুসলমানকে কিভাবে আলাদা করা হচ্ছে?