‘এখন সংগ্রাম সব ধরনের বৈষম্য থেকে মুক্তির’

নিজস্ব প্রতিবেদক

মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ

১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি তাদেরকে দেশের মানুষের সব ধরনের বৈষম্য থেকে মুক্তির সংগ্রামে শামিল হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।

এই সংগ্রামকে এই সময়ের মুক্তিযুদ্ধ অভিহিত করে তিনি বলেছেন, আমরা যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সু্যোগ পাইনি তাদের জন্য এটাই মুক্তিযুদ্ধ; তাদেরকে এই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় বলিষ্ঠ ভূমিকা ও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে হবে। তবেই আমাদের এই স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর ডাক সার্থক হবে।

universel cardiac hospital

মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখছিলেন দুদক চেয়ারম্যান। ঢাকার সেগুনবাগিচায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে শনিবার ‘মহান স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট ও আমাদের করনীয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

স্বাধীনতা একদিনে অর্জিত হয়নি উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, নির্যাতিত বাঙালির মুক্তির দাবিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন আন্দোলন, সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর মহান ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দীর্ঘদিনের ধারাবাহিক আন্দোলন ও সংগ্রামের ফসল আমাদের এই স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছিল।

১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার মধ্যেই স্বাধীনতার মূলবীজ নিহিত ছিল মন্তব্য করে মঈনউদ্দীন বলেন, ছয় দফার মূল দাবিগুলো সত্তরের নির্বাচনী ইশতেহারেও ছিল, যার ম্যান্ডেট নির্বাচনের ফলাফলে প্রতিফলিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছিল। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শামিল হতে পেরেছি।

দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘মহান স্বাধীনতার মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল দুর্নীতি, শোষণ ও বৈষম্য থেকে মুক্তি লাভ। সেজন্য স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করে সেই ভাবে জীবন যাপন করতে হবে; আচরণে তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে; শুধু বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না।’

কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক বলেন, বিশ্বের কোনো দেশ এত অল্প সময়ে বাংলাদেশের ন্যায় অর্থনৈতিক উন্নতি অর্জন করতে পারেনি। তবে দুর্নীতির সুচকে আমরা এখনো আশানুরুপ অগ্রগতি অর্জন করতে পারিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দুর্নীতিকে কখনো প্রশ্রয় দেননি। তিনি আজীবন এর বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কথাগুলো আমাদের জানতে ও মানতে হবে।

স্বাধীনতা দিবসের এই অনুষ্ঠানে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সকল অনুবিভাগের মহাপরিচালকবৃন্দ, পরিচালক, উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছিলেন দুদক বিভাগীয় ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।

শেয়ার করুন