ইন্টারনেটের দামে জাতিসংঘের লক্ষ্য পূরণ বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২১ সালে ইন্টারনেটের দামের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে বাংলাদেশ। একে বাংলাদেশের জন্য একটি অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) ও বৈশ্বিক ইন্টারনেট ফোরাম অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেটের (এফোরএআই) এক প্রতিবেদনে দামসংক্রান্ত এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘দ্য অ্যাফোর্ডেবিলিটি অব আইসিটি সার্ভিসেস ২০২১’ নামের প্রতিবেদনটি ১৭ মার্চ প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোবাইল ইন্টারনেটের দামের ক্ষেত্রে গত বছর জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পেরেছে বিশ্বের ৯৬টি দেশ। আর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দামের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পেরেছে ৬৪টি দেশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বের বেশিরভাগ স্বল্পোন্নত দেশে ইন্টারনেটের দাম জাতিসংঘ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ছিল। তবে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশসহ মাত্র চারটি দেশ জাতিসংঘ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে। এ তালিকার বাকি তিন দেশ হলো ভুটান, মিয়ানমার ও নেপাল।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশন ইন্টারনেটের দামের একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়। লক্ষ্য অনুযায়ী, একটি দেশের জাতীয় মাথাপিছু আয় যা হবে, তার ২ শতাংশের কম খরচ হবে ইন্টারনেট বাবদ। এ হিসাবে ২০২১ সালে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম জাতিসংঘের বেঁধে দেওয়া সীমার মধ্যেই ছিল।

‘আইসিটি সেবার সক্ষমতা’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রতি দুই জিবি মোবাইল ডেটাভিত্তিক ইন্টারনেটের জন্য মাসিক মাথাপিছু জাতীয় আয়ের ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ ব্যয় হয়, যার মূল্য ২ দশমিক ৩২ ডলার। ক্রয়সক্ষমতার সমতার হিসাবে এ ব্যয় ৫ দশমিক ৯৮ ডলার। মোবাইল ইন্টারনেটের সাশ্রয়ী দামে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে ভারত, ভুটান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশে প্রতি পাঁচ জিবি তারযুক্ত, অর্থাৎ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের জন্য মাসিক মাথাপিছু জাতীয় আয়ের ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ ব্যয় হয়, যার মূল্য ৩ দশমিক ৩৯ ডলার। ক্রয়সক্ষমতার সমতার হিসাবে এ ব্যয় ৮ দশমিক ৭৩ ডলার। ব্রডব্যান্ডে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় ব্যয় কম।

আইটিইউ ও এফোরএআই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের তুলনায় সারা বিশ্বে ইন্টারনেটের চাহিদা ও ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তার আয় থেকে এ খাতে ব্যয় বাড়িয়েছে।

২০২০ সালের চেয়ে ২০২১ সালে ইন্টারনেট কম সাশ্রয়ী ছিল। ব্রডব্যান্ডের দাম সারা বিশ্বে ২০২১ সালে মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের ৩ দশমিক ৫ শতাংশে উঠেছিল। ২০২০ সালে তা ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ। এ ছাড়া মোবাইল ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে তা ১ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ শতাংশ হয়।

শেয়ার করুন