যারা উন্নয়ন দেখতে পায় না তাদের চক্ষুগুলো পরীক্ষা করা দরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

যারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না তাদের চোখের চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তাদের চোখে দেশের কোনো উন্নয়নই না কি হয়নি। এখন বলতে হয়, আমরা তো আই ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি- যারা বক্তৃতা দেয় উন্নয়ন হয় না, চোখে দেখে না, আমার মনে হয়, তাদের চক্ষুগুলো একটু পরীক্ষা করা দরকার। তাহলে হয়তো দেখতে পাবে যে উন্নয়ন হয়েছে কি না।

রোববার (২৭ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

universel cardiac hospital

প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন, তাদের চোখে পড়ে না যে শতভাগ বিদ্যুৎ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, যার সুফলটা তারাও পাচ্ছে, এটা কি উন্নয়ন নয়? আজকে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রও তাদের চোখে পড়ে না, আজকে দারিদ্রের হার হ্রাস, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন- এগুলো কি উন্নয়নের লক্ষণ নয়?

মোস্তাক-জিয়া মিলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের চার জাতীয় নেতাকে হত্যা থেকে শুরু করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য একদিকে যেমন সামরিক বাহিনীর হাজার হাজার সৈনিক-অফিসারকে হত্যা করেছে, তেমনি আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গুম-খুন করেছে। যাদের জন্ম সেনা ছাউনিতে, ক্ষমতা দখলকারীর পকেট থেকে এখন তাদের কাছ থেকেই আমাদের গণতন্ত্রের সবক শিখতে হবে, এটাই জাতির দুর্ভাগ্য।

আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর কোথাও কোনো মঙ্গা হয় নেই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গ যাদের বাড়ি তারাও কি সেটা দেখে না? তারা মনে হয় চোখে দেখে না, তাই তাদের কথা দেশের না কি কোনো উন্নতিই হয়নি।

সরকার প্রধান এসময় উত্তরবঙ্গের ধরলা ব্রিজ এবং গাবখান ব্রিজের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তিনি উদ্বোধন করে যেতে না পারায় ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যেই খালেদা জিয়া ধরলা ব্রিজ উদ্বোধন করে এটা নিজেরাই করার দাবি করেন। আর বলেন, আওয়ামী লীগ না কি দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে একটি সেতুও করেনি।

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য ‘গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে’ এর উদ্ধৃতি করে তাদের কাছে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র: বাসস

শেয়ার করুন