জ্যামাইকাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে ১৯৮৬ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো ফিফা বিশ্বকাপ খেলার টিকেট কেটেছে কানাডা। আর এতে করে দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাল কানাডা।
তিন যুগ পর বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হওয়ার আনন্দে রীতিমত উৎসব নেমে এসেছে জাস্টিন ট্রুডোর দেশে। দাপুটে পারফরম্যান্সে কনকাকাফ অঞ্চল থেকে সবার আগে ২০২২ বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিল ম্যাপল পাতার দেশটি। বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচটি তাদের জন্য এখন স্রেফ নিয়মরক্ষার উপলক্ষ। সেরা তিনে থেকেই বাছাই অভিযান শেষ করবে তারা।
ঘরের মাঠ বিএমও ফিল্ডে শুরু থেকেই আগ্রাসী কানাডা। ম্যাচের ১৩ মিনিটে কাইল লরিনের গোলে লিড নেয় কানাডা। এরপরও জ্যামাইকার বক্সে একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছে হার্ডম্যানরা। বিরতিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে তাজন বুকাননের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় কানাডা।
দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরার চেষ্টা না করে রক্ষণে মনোযোগ দেয় জ্যামাইকা। ম্যাচের ৮২ মিনিটে জুনিয়র হোইলেটের গোলে উল্লাসে মাতে স্বাগতিকরা। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে জ্যামাইকান রক্ষণ আদ্রিয়ান মারিয়াপ্পা নিজেই নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে ব্যবধান ৪-০ করেন। এতে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ খেলার টিকিট পায় কানাডা। এর আগে ১৯৮৬ সালে মেক্সিকোকে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছিল কানাডা।
এবারের বাছাইপর্বের শুরু থেকেই উড়ছিল কানাডা। বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ড থেকেই শীর্ষে ছিল তারা। আট দলের গ্রুপে তাদের কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। কিন্তু এই দুই দলের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে ৪ পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছিল তারা। গোটা বাছাইপর্বের ষষ্ঠ রাউন্ড পর্যন্ত অপরাজিত ছিল কানাডা। সপ্তম রাউন্ডে এসে অপ্রত্যাশিতভাবে কোস্টারিকার সঙ্গে হেরে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো তাদের।
বিশ্বকাপে সুযোগ করে নেয়ায় কানাডা ফুটবল দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে সুযোগ করে নেয়ায় কানাডা পুরুষ ফুটবল দলকে অভিনন্দন।’