নানা আয়োজনে ৫১তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে জাপানের টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (২৮ মার্চ) দুপুরে টোকিওর নিউ ওতানি হোটেলে সংবর্ধনা ও মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার হোন্ডা তারো। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিদের স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও জাপানের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শ্রদ্ধা জানান ৩০ লাখ শহীদ, সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জাতীয় চার নেতার প্রতি।
এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এ পররাষ্ট্র নীতির ভিত্তিতে পারস্পরিক বিশ্বাস, আস্থা ও সম্প্রীতির বন্ধনে বাংলাদেশ ও জাপানের দ্বি-পাক্ষিক সর্ম্পক সুদৃঢ় হয়েছে। যার শুরুটি হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ১৯৭৩ সালের জাপান সফরের মাধ্যমে।
হোন্ডা তারো বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, ভৌগোলিকভাবে ও কৌশলগত অবস্থানে থাকায় বাংলাদেশ আঞ্চলিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির প্রেক্ষাপটে দুই দেশের পারস্পারিক সম্পর্ক দিনে দিনে আরও দৃঢ় হবে।
জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লীগের সভাপতি তারো আসোর পক্ষে শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভের সদস্য তাতসুনরি ইবায়াসি। এরপর হোন্ডা তারো ও রাষ্ট্রদূত দিবসটি উপলক্ষে কেক কাটেন। বাংলাদেশ-জাপানের কূটনৈতিক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দলিলপত্রাদি ও আলোকচিত্রের এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
এসময় জাপানের মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, টোকিওর বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা, জাপানের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।
বিশিষ্ট জনদের মধ্যে জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ও হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভের সদস্য শুনসুকে মুতাই, ফরেন এফেয়ার্স কমিটির সভাপতি ও হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভের সদস্য মিনরু কিউচি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার শিঙ্গোমিয়াকে, হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভের সদস্য আকিহিরো নিশিমুরা ও তাতসুনরি ইবায়াসি, হাউস অব কাউন্সিলর সদস্য শিনপেই মাতসুশিতা ও ইয়াও হরি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।