মারিউপোলে কমপক্ষে পাঁচ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। সেখানে মানবিক বিপর্যয় হয়েছে বলে দেশটির দাবি। খবর এএফপির।
স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের মধ্যে সরাসরি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার বোমা হামলা চলেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা টেটিয়ানা লোমাকিনা গতকাল সোমবার ফোনে এএফপিকে বলেন, মারিউপোলে পাঁচ হাজার মানুষকে কবর দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশটিতে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ১০ দিন আগে রাশিয়ার অব্যাহত গোলা হামলার কারণে সমাহিত করা বন্ধ রাখা হয়।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে রাশিয়ার হামলায় ৮০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী গানা মেলিয়ার সতর্কতা জারি করে বলেন, কিয়েভ দখল করা মানেই ইউক্রেনকে দখল করা। এটাই তাঁদের লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া কিয়েভের আশপাশে যাতায়াতের সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিস মোনাসটিরস্কি দাবি করেন, প্রবল প্রতিরোধের মুখে কিয়েভ শহরতলির ইরপিন পুনর্দখলে নিয়েছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ সীমান্তে মালা রোগান এলাকা গতকাল পুনর্দখলের দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল মানবিক কারণে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক কর্মসূচির প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করতে শিগগিরই মস্কো ও কিয়েভ সফরে যাবেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, এক মাস আগে রাশিয়ার হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। তাঁর দাবি, এক কোটি লোক গৃহহীন হয়েছে।