বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ আর নেই (ইন্নালিল্লাহি …রাজিউন)। আজ শুক্রবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন এই হাসপাতালেরই আইসিইউতে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
হাসান আরিফের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
হাসান আরিফের মৃত্যুর খবর মত ও পথকে নিশ্চিত করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি, নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন হাসান আরিফ। অবশেষে আজ চির বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। আমরা তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
আবৃত্তিকার হাসান আরিফের মরদেহ আজ হিমঘরে রাখা হবে। শনিবার সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত মরদেহ রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে তাঁর জানাজার নামাজ হবে বলে জানিয়েছেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ। হাসান আরিফ মরদেহ দান করে গেছেন।
হাসান আরিফের মৃত্যুর খবরে শোক নেমেছে এসেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। তাঁর মৃত্যুতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট শোক প্রকাশ করেছে। জোটের সভাপতি সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। তাঁর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি। এ ক্ষতি পূরণ হবার নয়।’
হাসান আরিফের জন্ম ১৯৬৫ সালে। আশির দশক থেকে আবৃত্তি চর্চায় যুক্ত হন তিনি। সাংগঠনিক আবৃত্তিচর্চা ও প্রশিক্ষণে তাঁর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।