বাবর আজম ও ইমাম-উল-হকের জোড়া সেঞ্চুরিতে ইতিহাস গড়ে জিতল পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৪৯ রানের বিশাল টার্গেট তাড়ায় ৬ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের দাপুটে জয় পেল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের জয়ে ৮৩ বলে ১১৪ রান করেন অধিনায়ক বাবর আজম। আর ৯৭ বলে ১০৬ রান করেন ইমাম-উল হক।
ওয়ানডে ক্রিকেটে রান তাড়ায় এটাই পাকিস্তানের সেরা জয়। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩২৯ রান তাড়া করে জয় পেয়েছে তারা।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হেরে বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিতে ড্র করা দলটি লাহোর টেস্টে হেরে সিরিজ হারে ১-০তে। টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পড়ে যায় বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দলটি।
হারলে সিরিজ হাতছাড়া। জিতলে সিরিজে ফেরা। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়াকে কম রানে আটকে রাখতে পারেনি পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৪৮ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া।
সিরিজ বাঁচাতে রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান। উদ্বোধনী জুটিতে ১৮.৫ ওভারে ১১৮ রান করেন তারা। ৬৪ বলে ৭টি চার ও দুই ছক্কায় ৬৭ রান করে ফেরেন ফখর জামান।
এরপর অধিনায়ক বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে অনবদ্য জুটি গড়েন ইমাম। এই জুটিতেই ৯০ বলে ৬টি চার আর তিন ছক্কায় ক্যারিয়ারের ৪৯তম ওয়ানডেতে ৯ম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।
সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি ইমামুল। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে ধরা পরেন। তার আগে বাবর আজমের সঙ্গে গড়েন ৯২ বলে ১১১ রানের জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ৯৭ বলে ৬টি চার ও তিন ছক্কায় ১০৬ রান করেন ইমাম।
ইমাম আউট হওয়ার পর মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান বাবর আজম। জয়ের জন্য শেষ দিকে ৩৪ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪০ রান। খেলার এমন অবস্থায় আউট হন বাবর আজম। তার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৮৫তম ম্যাচে ১৫তম সেঞ্চুরি করেন বাবর। দলীয় ৩০৯ রানে ৮৩ বলে ১১টি চার ও এক ছক্কায় ১১৪ রান করে ফেরেন বাবর।
বাবর আজম আউট হওয়ার পর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন এ উইকেটকিপার ব্যাটার।
বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হওয়ার পর ইফতেখারকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন খুশদিল শাহ। জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। নাথান ইলিসের করা ৪৯তম ওভারে এক ছক্কা আর দুই চারে ১৮ রান আদায় করে দলের জয় নিশ্চিত করেন খুশদিল (২৭*)।