টিকার দ্বিতীয় ডোজও লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার টিকাদান কার্যক্রম
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠী অর্থাৎ ১১ কোটি ৭০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে সরকার। ইতোমধ্যে প্রথম ডোজের লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়েছে। এখন দ্বিতীয় ডোজের লক্ষ্যমাত্রার দ্বারপ্রান্তে দেশ। এ পর্যন্ত টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ১১ কোটি ২০ লাখ ৫৯ হাজার ২০০ জন। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) একদিনেই দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১১ লাখ ৮০ হাজার ৭০২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে টিকাদান কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছেন ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫৩ জন। এছাড়া দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ১১ কোটি ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ২০০ জন মানুষ। এর মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৯৬ লাখ ৬৬ হাজার ৪২১ জন।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ৯৯৯ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১১ লাখ ৮০ হাজার ৭০২ জনকে এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৬৮৫ জনকে। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।

গত ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৩ হাজার ৩০ জন টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১ কোটি ৫৫ লাখ ১৯ হাজার ৬১২ শিক্ষার্থী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত একদিনে ৮ হাজার ৩৪৭ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭০৫ জন।

দেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৮ হাজার ৫৬৩ ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদেরকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, আসন্ন রমজানেও দেশব্যাপী করোনার টিকা কর্মসূচি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অব্যাহত থাকবে।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনা টিকার নিবন্ধন শুরু হয় গত বছরের ২৭ জানুয়ারি। ওই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

শেয়ার করুন