বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেকরেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, ঢাকা।
শুক্রবার রাতে (১ এপ্রিল) সংগঠনটির পক্ষে পাঠানো শোকবার্তায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, ঢাকা-এর সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোঃ খলিলুর রহমান প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় হাসান আরিফের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। বর্ণাঢ্য জীবনে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগ্রামের সামনের কাতারের যোদ্ধা ছিলেন তিনি।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর করোনা পজেটিভ হন হাসান আরিফ। এরপর ২ ডিসেম্বর রাজধানীর শ্যামলীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে গত মঙ্গলবার লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। শুক্রবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে মারা যান তিনি।
১৯৬৫ সালের ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লার সাহেব বাড়িতে জন্ম নেওয়া হাসান আরিফ আশির দশক থেকে আবৃত্তি করছেন। বেশ কিছু অ্যালবামও বের হয়েছে তার। কবিতার সঙ্গে সম্পর্ক ১৯৮৩ সাল থেকে, সরিত আবৃত্তিচক্র নামের সংগঠন থেকে। সেখান থেকে যোগ দেওয়া আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদে। পরবর্তীকালে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের হয়ে সামাজিক সাংস্কৃতিক গণতান্ত্রিক সংগ্রামের সামনের কাতারের যোদ্ধা ছিলেন তিনি। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মাঠেও ছিলেন সক্রিয়।