২৪ বছর ধরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন আশিষ, ছিল এসবি ভেরিফাইড পাস

মত ও পথ ডেস্ক

আশিষ রায় চৌধুরী
আশিষ রায় চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

২৪ বছর ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন সবার চোখের সামনে দিয়ে। রিজেন্ট এয়ারওয়েজের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) হিসেবে বিমানবন্দরের ভেতরে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। ছিল বিমানবন্দরে প্রবেশের ডিউটি পাস। এই পাসটি সংগ্রহ করার আগে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তারা সশরীরে তদন্ত করেন। তাদের সবার চোখ এড়িয়ে পাস নিয়ে এতদিন মন্ত্রী-এমপিসহ ভিআইপিদের সান্নিধ্যে ছিলেন আশিষ।

অবশেষে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক ও চার্জশিটভুক্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) গুলশানের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

universel cardiac hospital

২৪ বছর ধরে কীভাবে তিনি নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়িয়েছেন, কীভাবে এসবি ক্লিয়ারেন্সসহ বিমানবন্দরের ডিউটি পাস পেয়েছেন এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এছাড়া দুই রকম নামে বাংলাদেশ ও কানাডার আলাদা দুটি পাসপোর্ট ছিল আশিষের।

মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তারের পর র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, গত ২৮ মার্চ তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়। ৩০ মার্চ থেকে ওই বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গোপন তথ্যে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাসা মিরপুর ডিওএইচএস। ওই বাসাটি তিনি আত্মগোপনের জন্য ব্যবহার করছিলেন।

তিনি বলেন, বাসা থেকে ২৩ বোতল মদ, বেশ কিছু বিয়ার, সীসার সরঞ্জাম উদ্ধার করেছি। তার বাসা থেকে দুজন নারীকে আটক করা হয়েছে। তার পরিবার এখানে থাকেন না। ওই দুজন নারীর পরিচয় ও কী উদ্দেশে ছিলেন, তা জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে।

খন্দকার আল মঈন বলেন, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যায় তার সম্পৃক্ততা ও অন্যান্য ডিটেলস আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। বুধবার বিস্তারিত জানানো যাবে।

দীর্ঘ ২৪ বছর পূর্বের চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক ও চার্জশিটভুক্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেপ্তারে গুলশানের একটি বাসা ঘিরে রাখে র‍্যাব। পরে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা দল ও র‍্যাব-১০ এ অভিযান শুরু করে।

উল্লেখ্য, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানীর ক্লাব ট্রামসের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।

শেয়ার করুন