ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের মনকশাইর এলাকায় চার শতাধিক গৃহহীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের মহাযজ্ঞ চলছে। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্লান দেশের সবচেয়ে বড় এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে পাকা ঘরের পাশাপাশি উপকারভোগীদের জন্য থাকছে উপাসনালয়, হাটবাজার ও প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কবরস্থান। আগামী মে মাসেই ঘরগুলো হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে কসবা উপজেলার গৃহহীন পরিবারগুলোর জন্য দেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প হাতে নেয় উপজেলা প্রশাসন।
ঘরের চালাগুলো জাতীয় পতাকার আদলে সবুজ ও লাল রঙে করা হচ্ছে। চার শতাধিক গৃহহীন পরিবারের জন্য সারি সারি তৈরি হচ্ছে ঘর। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ঘরের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
মনকশাইর এলাকায় ১২ দশমিক ৩৫ একর খাসজমিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রচেষ্টায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ হচ্ছে। মাটি ভরাট শেষে গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে শুরু হয় ঘর নির্মাণের কাজ।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য সাড়ে তিন শতাধিক শ্রমিক রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা করে। এ ছাড়া আরও অতিরিক্ত ৪ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে মালামাল পরিবহনের খরচ হিসেবে। ২ শতাংশ করে জমির ওপর নির্মিত প্রতিটি ঘরে দুটি করে কক্ষ, রান্নাঘর, টয়লেট থাকবে। এ প্রকল্পে উপকারভোগীদের জন্য সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা রাখা হচ্ছে। আশা করছি আগামী মে মাসের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষে ঘরগুলো উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা যাবে।