প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পুলিশ জনগণের সেবক হবে, জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করবে, পুলিশের কাছে গেলে যে ন্যায়বিচার পাবে—এ আত্মবিশ্বাস যেন মানুষের মধ্যে সবসময় থাকে।’
বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত গৃহহীনদের মধ্যে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আজ রোববার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যেকোনো বাহিনী হোক, যেকোনো ব্যক্তি হোক, তার জীবনে সফলতা তখনই আসে, যখন তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সে যথাযথভাবে পালন করে মানুষের আস্থা-বিশ্বাস এবং ভালোবাসা অর্জন করতে পারে। এভাবেই যেন মানুষের আস্থা পুলিশ অর্জন করতে পারে, এটাই আমরা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার আকাঙ্খা ছিল বাংলদেশের পুলিশ হবে জনগণের পুলিশ। আর পুলিশের এ দুটি উদ্যোগই গণমুখী হয়েছে। তিনি পুলিশকে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে কাজ করে যাবারও আহবার জানান।
শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম, পীরগঞ্জ, রংপুর ও খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভার্চুয়ালি পুলিশ সদস্য এবং উপকারভোগীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্স, রাজারবাগ, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় এবং এর সাথে সকল থানা, পুলিশ রেঞ্জ এবং পুলিশ লাইন সংযুক্ত ছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদও বক্তৃতা করেন। অতিরিক্ত আইজিপি ড.নুরুর রহমান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের দুটি মানবিক উদ্যোগ ‘সার্ভিস ডেস্ক’ এবং ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের উপর একটি অডিও-ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
‘সার্ভিস ডেস্ক’ খোলার জন্য প্রতিটি থানায় আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একজন বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর প্রশিক্ষিত মহিলা অফিসারদের সাথে ডেস্কের নেতৃত্ব দেবেন।
এ ছাড়াও ডেস্কগুলিকে অন্যান্য সরকারী পরিষেবা সম্পর্কে দর্শকদের অবহিত করার এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল ব্যক্তিদের আইনি সহায়তা প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গৃহহীন মানুষের জন্য সারাদেশে ৫২০টি থানায় একটি করে বাড়ি তৈরি করবে পুলিশ। প্রথম দফায় ৪০০ বাড়ি বিতরণ করেছে পুলিশ। যে ঘরগুলো মানসম্মত আধুনিক নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো হলো ভূমিকম্প ও গরম প্রতিরোধক।