নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে নদীর অভিন্ন প্রবাহ নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। এর মধ্যে যমুনা ও তিস্তা নিয়ে কথা চলছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে নদীর নাব্য ফিরে আসবে। নাব্য ফিরে এলেই নৌ চলাচলে কোনো বাধা থাকবে না।
গতকাল শনিবার জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বাহাদুরাবাদ লঞ্চ টার্মিনাল ও বাহাদুরাবাদ-বালাসী নৌ-রুটে পরীক্ষামূলক লঞ্চ সার্ভিসের উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এরই মধ্যে সাত হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য দশ হাজার কিলোমিটার নৌপথ। সরকার দেড়শ কোটি টাকা ব্যয়ে টার্মিনাল তৈরি করেছে।’
উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন—বিআইডব্লিওটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেক, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার শেফা, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান হোসেন প্রমুখ।
২০০০ সালে বাহাদুরাবাদ-বালাসী রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ নৌপথটি আবারও চালু করতে উদ্যোগ নেয় সরকার। যমুনার দুই তীর বাহাদুরাবাদ ও বালাসী ঘাটে ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় টার্মিনাল। কিন্তু, গত বছর নাব্য সংকট দেখিয়ে রুটটি চলাচলের অনুপযোগী বলে প্রতিবেদন দেয় বিআইডব্লিওটিএ। এরপর নৌ-রুটটি চালু নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। পরবর্তীকালে স্থানীয়দের দাবির মুখে দীর্ঘ ২২ বছর পর পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় নৌরুটটি।