দণ্ডবিধিতে নারী ধর্ষণ সংক্রান্ত অপরাধের সংজ্ঞার ধারা সংশোধনসহ পুরুষ ও অন্যদের সঙ্গে সংঘটিত একই ধরনের অপরাধকে ‘ধর্ষণ’ হিসেবে যুক্ত করার প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে নারী ধর্ষণ সংক্রান্ত দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা লিঙ্গ সমতা করে সংশোধন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার এই আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
কোনো নারীকে পুরুষ ধর্ষণ করার বিষয়ে দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় পাঁচটি উপাদানের কথা বলা হয়েছে। সেগুলো হলো- নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে, সম্মতি ছাড়া, সম্মতি থাকলেও তাকে মৃত্যু ও আঘাতের ভয় দেখিয়ে, স্বামী না হয়েও স্বামী বলে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে এবং সম্মতি থাকলেও ১৪ বছরের কম বয়সের নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করলে তা ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
গত বছরের ১১ জানুয়ারি হাইকোর্টে এ বিষয়ে রিট আবেদন করা হয়। রিটকারী তিনজন হলেন- গাজীপুরের বাসিন্দা সৌমেন ভৌমিক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাসমিয়া নুহিয়া আহমেদ ও সমাজকর্মী মাসুম বিল্লাহ।
রিট আবেদনে বলা হয়, দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় শুধু পুরুষ দ্বারা নারীদের ধর্ষণের বিষয়ে বলা আছে। এখানে সম্মতি ছাড়া নারীদের দ্বারা নারী, নারীর দ্বারা পুরুষ, পুরুষ দ্বারা পুরুষ ও একজন ট্রান্সজেন্ডার আরেক ট্রান্সজেন্ডারের দ্বারা যৌন নিপীড়নের বিষয়টি নেই।