‘শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি বাংলাদেশকে অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিপিডি
ফাইল ছবি

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, অনেকেই জানতে চান শ্রীলঙ্কার বিষয়ে আমাদেরকে সর্তক থাকার প্রয়োজন রয়েছে কিনা?। সিপিডি মনে করে, অবশ্যই বাংলাদেশকে সর্তক থাকার দরকার আছে। কারণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে সুশানের অভাবে ব্যয় বাড়ছে। এগুলোর ঋণ এক সময় ফেরত দিতে হবে। তখন যদি পর্যাপ্ত অর্থ না থাকে, তখন বাংলাদেশকে চাপে পড়তে হবে। ইতিমধ্যেই রেমিট্যান্স ও রির্জাভ কমছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডির সিপিডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সিপিডির বিশেষ ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এবং গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম আগামী বাজেট নিয়ে তাদের পরামর্শগুলো তুলে ধরেন।

আগামী বাজেটে খাদ্যে, রপ্তানি শিল্পে প্রণোদনা দেয়া এবং শ্রমিকদের হেলথ ইন্সুরেন্স এর আওতায় আনা, প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানি পর্যায়ে শুল্ক তুলে দেয়া, কৃষি খাতে ভর্তুকি হারে কৃষি ঋণের সুপারিশ করেছেন তারা।

আগামী বাজেট যেহেতু নির্বাচনী বাজেট তাই অবশ্যই এটি ব্যতিক্রমী সময়ের বাজেট উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের প্রেক্ষিতে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বাজেটে কিভাবে নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে পারা যায়, সেদিকটি নজরে রাখতে হবে সরকারকে।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট করে উন্নয়ন দীর্ঘমেয়াদী হবে না। দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়নে সবুজ অর্থনৈতিক উন্নয়নে মনোযোগী হতে হবে।

২০২২-২৩ সালের বাজেট নিয়ে সিপিডি’র পরামর্শ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে তাগিদ দেন এবং অর্থব্যবহারে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে বলে জানান তিনি।

ফাহমিদা খাতুন কৃষিতে ভর্তুকি বাড়ানো জরুরি জানিয়ে, কৃষিতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। এ সময় সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানো, শিশুদের নিরাপত্তায় আরো মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ব্যয়ের ক্ষেত্রে অপব্যয় বন্ধ করা। অপচয় রোধ করা। বড় বড় প্রকল্পে সুশান প্রতিষ্ঠত করে ব্যয় কমানোর পাশাপাশি দুর্নীতি বন্ধ করা। করোনার কারণে সমাজে যে অসাম্য সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করতে হবে।

শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তুলনীয় না কিন্তু শিক্ষণীয় উল্লেখ করে অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি এক দিনে হয়নি। তাই আমাদের বাজার ভিত্তিতে ঋণ আনতে হবে। নতুন নেয়া ঋণগুলো কোন সময় দিতে হবে, সেটার সাথে সামঞ্জস্য ঠিক করতে হবে। সেইসঙ্গে প্রকল্পগুলোকে সাশ্রয়ী সময়ের মধ্যে শেষ করার টার্গেট রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

শেয়ার করুন