বিগত বছরগুলোয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত করা হলেও এবার বেলা দুইটার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ মঙ্গলবার রমনার বটমূলে আয়োজিত সংবাদ বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দুই বছর বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়নি। এবার সীমিত পরিসরে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
তবে রমজান উপলক্ষে এবার সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বছর পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে বর্ষবরণের আয়োজন বেলা দুইটার মধ্যে শেষ করতে হবে।
রমনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ এর আশপাশের এলাকাগুলোতে বর্ষবরণের আয়োজন কেন্দ্র করে ডিএমপির পক্ষ থেকে আরও বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো—
১. বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের আগে সবার নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে।
২. মাঝখান থেকে হঠাৎ কেউ শোভাযাত্রায় ঢুকলে কঠোর আচরণের মুখে পড়তে হবে।
৪. মুখোশ পরা ও ভুভুজেলা বা উচ্চ শব্দ তৈরি করে এমন কোনো কিছু ব্যবহার করা যাবে না।
৩. শিশুদের মেলা প্রাঙ্গণে আনার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। কেননা, খাবারের কোনো দোকান থাকবে না।
বর্ষবরণের নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, সব জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। প্রতি ইঞ্চি জায়গা যাতে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকে, সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে। এরপরও যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তাহলে ‘ইভাকুয়েশন প্ল্যান’ (উদ্ধার পরিকল্পনা) চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সাদাপোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর তথ্য বলছে, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর তৎপরতা আগের চেয়ে বেড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীর তৎপরতা আছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
পুলিশের দায়িত্ব ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কিন্তু তা না করে এভাবে সময় বেঁধে দেওয়ার কারণ কী ও ভবিষ্যতে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের জন্য সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না, জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ২৪ ঘণ্টা অনুষ্ঠান চালানো কোনো বিবেচনাতেই ঠিক হয় না।