চলতি অর্থবছর (২০২১-২২) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তারা জানিয়েছে, করোনা সংকটে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। পোশাক রপ্তানি ভালো ছিল। ইউরোপসহ বিভিন্ন বাজারে যদি পোশাক রপ্তানির বাজার অংশীদারত্ব ধরে রাখা সম্ভব হয়, তাহলে চলতি অর্থবছর কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হবে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস স্প্রিং ২০২২’ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যান্স টিমার বলেন, বাংলাদেশ সঠিক পথে আছে। শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। করোনা সংকট থেকে অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার করছে বাংলাদেশ। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এতে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে।
গত ৬ এপ্রিল প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০২২’ এ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জানায়, চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। আগামী অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে। ফলে এডিবির থেকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির কম দেখালো।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, আগামীতে মুদ্রাস্ফীতির নিবিড় পর্যবেক্ষণ দরকার। ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব পড়বে দেশের টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে। তবে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে কাঠামোগত সংস্কার মোকাবিলায় সহায়তা করতে প্রস্তুত, যাতে পুনরুদ্ধারে সহায়তা করা যায়। ভবিষ্যতের ধাক্কা মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক।