বর্ষবরণে ঢাবি ক্যাম্পাসে বর্ণিল আয়োজন

ঢাবি প্রতিনিধি

বাংলা নতুন বছরকে বরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আজ বৃহস্পতিবার ছিল বর্ণিল আয়োজন। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখ নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনে উদ্‌যাপিত হয়েছে৷ আয়োজনে ছিল নৃত্য, সংগীত, আবৃত্তি, আলোচনাসহ নানা অনুষঙ্গ।

আজ সকালে ক্যাম্পাসে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়েছে। এসব আয়োজন থেকে পুরোনো দুঃখ-গ্লানি পেছনে ফেলে নতুন বছরে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।

universel cardiac hospital

এসব আয়োজন ঘিরে গতকাল বুধবার রাত থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা৷ তবে সাংস্কৃতিক আয়োজনগুলো ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বেঁধে দেওয়া সময় বেলা দুইটা বা তার কাছাকাছি সময়ে শেষ করতে হয়েছে। নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকলেও বৈশাখের আনন্দ তাতে ম্লান হয়নি।

‘নতুন দিনের সৃজন আলোয়’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ঢাবির থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ ক্যাম্পাসের নাটমণ্ডল প্রাঙ্গণে আয়োজন করে বর্ষবরণ উৎসব ‘পহেলা বৈশাখ ১৪২৯’। মঙ্গলগীত, নৃত্যসহ নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এই আয়োজন করেন। এতে অংশ নেন অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থী এবং দর্শনার্থীরাও।

সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে খেলাঘর ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোল’ শিরোনামে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়। সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যের পাশাপাশি এই আয়োজনে একটি আলোচনা পর্বও ছিল।

খেলাঘর কেন্দ্রীয় সংসদের চেয়ারম্যান পান্না কায়সারের সভাপতিত্বে এই পর্বে আলোচনায় অংশ নেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, খেলাঘর ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান প্রমুখ।

এসব অনুষ্ঠান যখন চলছিল, তখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তার কিছুটা কড়াকড়ি ছিল। ঘড়ির কাঁটা দুইটার ঘরে যেতেই নিরাপত্তা অনেকটা শিথিল হয়। তবে এর পর থেকেই টিএসসি এলাকায় প্রশাসনের স্থাপিত তথ্যকেন্দ্র থেকে ক্যাম্পাসে আগতদের বিকেল পাঁচটার মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়তে বলা হয়।

শেয়ার করুন