আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে হেরে ইউরোপা লিগ-কে বিদায় জানাতো হলে জাভির শিষ্যদের। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৫ ম্যাচ পর পরাজয়ের তেতো স্বাদ পেল বার্সেলোনা।
কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বৃহস্পতিবার রাতে দারুণ খেলেছে আইনট্রাখট। বার্সেলোনাকে তাদের মাঠেই ৩-২ গোলে হারিয়ে দিয়েছে জার্মানির ক্লাবটি। আর এ জয়ের পর দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় ইউরোপা লিগের সেমি-ফাইনালে উঠল আইনট্রাখট। ম্যাচের শুরুতেই প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি উপহার দেওয়ার ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি বার্সেলোনা।
ম্যাচে আইনট্রাখটের দুরন্ত সব আক্রমণ সামলাতে হিমশিম খেয়েছে বার্সা। মাত্র ২৫ শতাংশ পজিশনে বল দখলে রেখে ১৫টি শট নিয়ে আইনট্রাখট, যার সাতটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে বার্সা শট নিয়েছে ১০টি, যার চারটি ছিল লক্ষ্যে।
ম্যাচের শুরুর তৃতীয় মিনিটে ডি-বক্সে ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়া আইনট্রাখটের ইয়াসপের লিন্ডস্ট্রোমকে পেছন থেকে টেনে ধরে ফেলে দেন। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
সফল স্পটকিকে দলকে লিড এনে দেন আইনট্রাখটের সার্বিয়ান মিডফিল্ডার ফিলিপ কোস্তিচ।
নবম মিনিটে সমতায় ফেরার দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিল বার্সা। ডান দিক থেকে উসমান দেম্বেলের ক্রস দূরের পোষ্টে পেয়ে মাথা ছোঁয়ান পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং। তা ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
৩৪তম মিনিটে বার্সেলোনার তিন খেলোয়াড়কে পরাস্ত করে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জার্মান উইঙ্গার আন্সগার দারুণ শট নেন, যা ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। কিন্তু পরক্ষণেই পরাস্ত হন। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে জোরাল শট নেন রাফায়েল বোর। স্কোরলাইন হয় ২-০ করেন কলম্বিয়ার এই ফরোয়ার্ড।
বিরতির আগ পর্যন্ত একটি গোলও শোধ করতে পারেনি বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন অবামেয়াং। দেম্বেলের পাসে ছোঁয়া লাগলেই গোল হয়ে যেত। কিন্তু বলে পা ছোঁয়াতেই পারেননি অবামেয়াং।
৫৬তম মিনিটে কাছ থেকে অবামেয়াংয়ের প্রচেষ্টা ঠেকান গোলরক্ষক। ৬৭তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে স্কোরলাইন ৩-০ করেন কোস্তিচ। সতীর্থের পাস ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে পাঠান তিনি।
৯ মিনিট যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে একটি গোল শোধ করে বার্সা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল ভলিতে গোল পান বুসকেতস। একেবারে শেষ মুহূর্তে লুক ডি ইয়ং ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। আইনট্রাখটের ফরাসি ডিফেন্ডার এভান দেখেন লাল কার্ড। স্পট কিকে মেমফিস ডিপাইয়ের গোলে পরাজয়ের ব্যবধানই কমে শুধু। স্কোরলাইন তখন ৩-২।
এরপরই রেফারির বাঁশি। জয়ের উল্লাসে ফেটে পড়ে জামার্নের দলটির সমর্থকরা। এ হারের পর ইউরোপা লিগ ঘিরে যে আশাটুকু ছিল কাতালানদের, সেটিও শেষ হয়ে গেল।