জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চেয়েছিল পরিবারটি। সহায়তার পরিবর্তে উল্টো ওই পরিবারের তিন সদস্য পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাদের বিরুদ্ধে তারা হামলার অভিযোগ করেছিলেন, তাদের করা ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এক সপ্তাহ ধরে কারাবন্দি পরিবারটির একজন সদস্য।
গত ৮ মার্চ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার বিবির বাগিচা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ‘অপেশাদার আচরণের’ দায়ে যাত্রাবাড়ী থানার তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি এক আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে পুলিশ।
ঘটনার তদন্তে ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কামরুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সাময়িকভাবে বরখাস্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিৎ সরকার, কনস্টেবল মো. শওকত আলী ও নবনীতা বনসেন। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে দায়িত্বরত আনসার সদস্য সুমন দেবের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে তাকে বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ আজ শনিবার এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মামলার আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে যাত্রাবাড়ী থানার তিন পুলিশ সদস্য অপেশাদার আচরণ করেছেন। তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য শিল্পী আক্তার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে তাদের বাসা থেকে বের হওয়ার রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। গত ৮ মার্চ দেয়াল বানিয়ে রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করা হলে তারা বাধা দেন।
আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে নুরুল ইসলামের লোকজন সেখানে দেয়াল তৈরি করছিলেন। বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।