ধাপে ধাপে এগিয়ে চলা পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এর ধারাবাহিকতায় সেতুতে এবার শেষ হলো ল্যাম্পপোস্ট বাসানোর কাজ।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকালে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, সোমবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সেতুর ৩৬তম স্প্যানে বসানো হয় সর্বশেষ ল্যাম্পপোস্টটি। এর মধ্যে দিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে বসে গেলো মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট। এসব ল্যাম্পপোস্ট রাতে আলোকিত করবে সেতু।
প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টের মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি এবং দুই প্রান্ত মাওয়া ও জাজিরা ভায়াডাক্টে ৮৭টি রয়েছে। একটি থেকে আরেকটি ল্যাম্পপোস্টের দূরত্ব প্রায় ৩৮ মিটার। ল্যাম্পপোস্টগুলো চীনের তৈরি। প্রতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হলেও এসব ল্যাম্পপোস্টের কোনো ক্ষতি হবে না। প্রতিটি পোস্টের ওজন ২৭৫ কেজি ও দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ২ মিটার। প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টে বসানো হবে ১৭৫ ওয়াটের এলইডি বাল্ব। পরবর্তীকালে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।
এর আগে গতবছরের ২৫ নভেম্বর মাওয়া প্রান্তে সেতুর ভায়াডাক্টে পরীক্ষামূলক ও গত ৯মার্চ শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে মূল সেতুর ৪০নং স্প্যানে পুরোদমে ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল।
এদিকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের এখন পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি ৯২ ভাগ। আর মূল সেতুর কাজ এগিয়েছে ৯৭ ভাগ। অর্থাৎ মূল সেতুর কাজ বাকি আর মাত্র তিন ভাগ।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হতে থাকে সেতু। ২০২২ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।