ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী, দায়িত্ব পালনকারী সাংবাদিক ও হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে এক মানববন্ধনে এসব দাবি তোলা হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
১. যারা হামলা করেছে, তাদের একটাই পরিচয় তারা সন্ত্রাসী। তাদের চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে।
২. হল এবং ক্যাম্পাস খোলা রেখে শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই হল এবং ক্যাম্পাস বন্ধ করা যাবে না।
৩. ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর গুলির নির্দেশ দানকারী এডিসি এবং দায়িত্বে অবহেলার কারণে ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অবশ্যই অপসারণ করতে হবে।
৪. অ্যাম্বুলেন্স এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধনে সাত কলেজ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ইসমাইল হোসেন সম্রাট বলেন, ১৮ এপ্রিল মধ্যরাতে এডিসি হারুনের নেতৃত্বে ঢাকা কলেজে যে হামলা হয়েছে, সেই কারণেই আজকের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একটা গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। এডিসি হারুনের নির্লজ্জ আচরণে শুধু ঢাকা কলেজ নয়, সারা দেশের ছাত্রসমাজ আজ ক্ষুব্ধ।
তিনি বলেন, হামলায় ঢাকা কলেজের ১২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব কলেজ প্রশাসন ও রাষ্ট্রকে নিতে হবে। যে শ্রমিক ভাই নিহত হয়েছেন, তার ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।