ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি ভিডিও দেখিনি। কী পরিস্থিতিতে এডিসি অন্য সদস্যকে ধাপ্পড় মেরেছেন। রমনার ডিসি যদি রিপোর্ট করেন তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্রদের লক্ষ্য করে পুলিশের রাবার বুলেট ছোড়ার নির্দেশ দেন পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। বারুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এক সদস্যকে ধাপ্পড় মারার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গণমাধ্যমের খবরেও তা প্রকাশ পেয়েছে। এডিসি হারুনের প্রত্যাহারও দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
অপেশাদার আচরণ ও পরিস্থিতি না বুঝে গুলির নির্দেশ দেওয়ার বিষয় খতিয়ে দেখে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন৷
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশের আচরণ ও অবস্থান ছিল ব্যবসায়ীদের পক্ষে। এমন অভিযোগ সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘অমূলক, একদম ভিত্তিহীন অভিযোগ। এগুলো তদন্ত বা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন নেই। ১০ তলা ভবনের উপরে উঠে কারা পুলিশের উপর হামলা করেছে?’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘প্রথমে আমরা চেষ্টা করেছি প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক, কলেজ শিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র নেতাদের মাধ্যমে ছাত্রদের ভেতরে প্রবেশ করানোর। ব্যবসায়ী নেতাদের মাধ্যমে ব্যবসায়ী-শ্রমিকদের ভেতরে ঢুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকালে শিক্ষকরা আসছেন, ব্যবসায়ীরা আসছেন। তাদের কেউ কেউ দেরি করে আসছেন। তারা আসার পর আমরা ছাত্র ও শ্রমিকদের নিবৃত করতে বলছি। কোনো সংঘাত যাতে না হয় সে চেষ্টা আমরা শুরু থেকেই করে আসছি। যখন দেখছি কেউ কথা শুনছে না তখন আমরা অ্যাকশনে গেছি। পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। একটা ছাত্র আহত হওয়াতেই সারা ঢাকা শহরে আগুন জ্বলে গেলো! কিন্তু পুলিশের আসলে কোনো লাভ নেই। আমরা চাই না সংঘাত হোক, কেউ আহত হোক।’