ইউক্রেনকে গোপনে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ও বিমানের সরঞ্জাম দিয়েছে পশ্চিমারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেনকে গোপনে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ও বিমানের যন্ত্রাংশ দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। এসব যুদ্ধবিমান ইতোমধ্যে ইউক্রেনে পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন। তবে ঠিক কতগুলো যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে, তা প্রকাশ করা হয়নি। খবর ফোর্বেসের।

রুশ সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে যুদ্ধবিমান সরবরাহের আবেদন জানিয়ে আসছিল ইউক্রেন। গত মাসে পোল্যান্ড কিছু যুদ্ধবিমান সরবরাহের প্রস্তাব দিলেও যুক্তরাষ্ট্র তাতে বাদ সাধে। তবে শেষ পর্যন্ত সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ অভিযান জোরদার হওয়ার পর গত সপ্তাহে কিয়েভের জন্য নতুন করে প্রায় ৮০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপর এক সপ্তাহ না যেতেই যুদ্ধবিমান ও বিমানের সরঞ্জাম পাঠানোর কথা জানাল ওয়াশিংটন।

যুদ্ধবিমান নিয়ে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর কাছে এপ্রিলের শুরুর দিকে যত যুদ্ধবিমান ছিল, এখন তার চেয়ে আরও বেশি যুদ্ধবিমান তাদের কাছে রয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলের বিভিন্ন শহরে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনীয়দের তীব্র লড়াই চলছে। ৩০০ মাইল দীর্ঘ এক রণক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ বাহিনীকে ঠেকানোর চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে লুহানস্কের ক্রিমিনা ও অন্য একটি ছোট শহরও রুশ বাহিনী দখল করে নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে ইউক্রেন সরকার।

মারিওপোল দখলের লড়াইয়ে আবারও আলটিমেটাম জারি করে মস্কো। বলছে, বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ২টা নাগাদ মারিওপোল নগরীতে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে।

আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় সৈন্যদের মধ্যে যারা অস্ত্র সমর্পণে সম্মত হবে, তাদের জন্য মানবিক করিডোর খুলে দেওয়া হবে।

অবরুদ্ধ মারিউপোলের নিয়ন্ত্রণ মস্কোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ অঞ্চল দখল করতে পারলে ক্রিমিয়া উপত্যকার সঙ্গে করিডোর স্থাপন করতে পারবে রাশিয়া। কৃষ্ণসাগরের উপদ্বীপটিতে থাকা রুশ সেনারাও তখন দোনবাস বা ওডেসার দিকে অভিযানে যুক্ত হতে পারবে আর ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগর উপকূলরেখার ৮০ শতাংশ রাশিয়ার হস্তগত হবে। কিন্তু রুশ সেনারা প্রায় ৫০ দিন ধরে শহরটিকে ঘিরে রাখলেও এখনো এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি।

মারিওপোলে ইউক্রেনীয় প্রতিরোধের সবশেষ শক্ত ঘাঁটি হয়ে উঠেছে চার বর্গমাইল এলাকাজুড়ে অবস্থিত আজভস্তাল আইরন অ্যান্ড স্টিল ওয়ার্কস নামের একটি কারখানা। মারিওপোলের মেয়রের এক উপদেষ্টা জানান, ওই কারখানার অবস্থা ভয়াবহ। সেখানে আটকে পড়া দুই হাজারের বেশি মানুষের কাছে স্বাভাবিক খাবার পানি, খাবার এমনকি বিশুদ্ধ বাতাসও নেই।

ইউক্রেনের রুশপন্থি স্বাধীনতাকামীরা জানিয়েছে, বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত মাত্র পাঁচজন ইউক্রেনীয় আত্মসমর্পণ করেছে। এর আগের দিন রুশ বাহিনীর দেওয়া আরেকটি আলটিমেটামের মধ্যে কোনো ইউক্রেনীয় আত্মসমর্পণ করেনি বলে জানিয়েছিল রাশিয়া।

শেয়ার করুন