বিশ্বে মহামারি করোনা ভাইরাসে একদিনে দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যু দুটোই কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ২৮৯ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮ লাখ ১০ হাজার ৫৬০ জন। আগের দিন মারা গেছেন ৩ হাজার ৩১০ জন ও সংক্রমিত হন ৯ লাখ ১১ হাজার ৬১৬ জন।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকালে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার আপডেট দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি ৭৬ লাখ ৫৪ হাজার ৯৫৪ জনে। আর বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭৬ জনে। এসময়ে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৪৫ কোটি ৯৯ লাখ ১১ হাজার ৯৮৯ জন।
বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে জার্মানিতে। আক্রান্তের দিক থেকে তালিকার পাঁচ নম্বর থাকা দেশটিতে এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৪৯ জন এবং মারা গেছেন ৩৯০ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ২৮৪ জন।
দৈনিক সংক্রমণের দিক দিয়ে দক্ষিণ জার্মানির পরই ফ্রান্সের অবস্থান। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হন ১ লাখ ৪ হাজার সাতজন, মারা গেছেন ১৮৫ জন।
করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১০ লাখ ১৭ হাজার ৬০৯ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৯৯ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ কোটি ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ কোটি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৯ জন।
আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৪ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার ৮৭৭ জন। মারা গেছেন ৫ লাখ ২২ হাজার ৯৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ৯০৩ জন, মারা গেছেন ৩৩ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮৬ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৬৬০ জন। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার ৬২৯ জন। মারা গেছেন ৬ লাখ ৬২ হাজার ৫৫৬ জন।
তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, ইতালি, স্পেন, আর্জেন্টিনা, ইরান ও কলম্বিয়া। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৪২ নম্বরে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৪৮৫ জন। মারা গেছেন ২৯ হাজার ১২৭ জন। আর সুস্থ হয়ে ওঠেছেন ১৮ লাখ ৯২ হাজার ৪৪৩ জন।