সরকারের ‘চক্রান্তে’ বিএনপি না পড়লে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে পারবেন না বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তবে বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের সরকার ভীত না বলেও মনে করেন তিনি।
‘ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি’তে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গয়েশ্বর এ দাবি করেন। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ইয়ুথ ফোরাম।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দাবি করেন, সরকারের চক্রান্তের উপাদানে যদি আমরা (বিএনপি ও সরকারবিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দল) না পড়ি, তাহলে আমরা ঘরে বসে থাকলেও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় যেতে পারবেন না এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনও করতে পারবেন না তিনি।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আমরা আপনাকে (শেখ হাসিনা) বিশ্বাস করেছিলাম। আমরা বিশ্বাস করে আপনার অফিসে গেলাম। আপনি এমনভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন যে দিনের ভোট রাতে করলেন।
আহসান হাবিবের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গয়েশ্বর রায় বলেন, আমি লিংকনকে বলব, যারা শেখ হাসিনার (প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি) কথা বিশ্বাস করেন, তারা মানুষ নন।
গয়েশ্বর বলেন, প্রাসাদ ষড়যন্ত্র কি যারা প্রাসাদের মধ্যে থাকেন, তাদের মধ্যেই হয়? প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আমরা কেউ অংশগ্রহণ করছি কি না? আন্দোলন করলাম দিনের বেলায়। আর রাতের বেলায় তার সাথে বৈঠক করলাম। আসন ভাগাভাগি করলাম। আমার মামলাটা একটু দেখবেন। এসব কথাবার্তা যদি চালাচালি করেন রাতের অন্ধকারে বসে, তাহলে সাধারণ নেতা–কর্মী বুঝবে না।
‘বিএনপি আন্দোলন করবে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই’ বলে উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, আন্দোলন করার লোকের কোনো অভাব নেই। আন্দোলনকে ভণ্ডুল করার জন্য অনেক লোকের দরকার নেই। সেই লোক আমাদের আশপাশে আছে। সেই লোকদের গোপন কথাবার্তা চলছে কি না? কার কাছে হাসিনা কথা দিয়েছিলেন, ৬০-৭০টা আসন দেবেন? সেই লোকটা কে?
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আইনজীবী আহমেদ আজম খান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান। সঞ্চালনা করেন ফোরামের সহসভাপতি শাহাদাত হোসেন।