ইউক্রেনের পাল্টা হামলায় পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার আক্রমণে ধীরগতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেনের শিল্পাঞ্চলীয় প্রাণকেন্দ্র দোনবাস পুরোপুরি দখলে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। কিন্তু ইউক্রেনের তুমুল পাল্টা হামলায় তারা খুব বেশি অগ্রসর হতে পারেনি, তাদের অগ্রগতি মন্থর হয়ে পড়েছে।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) ব্রিটিশ ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এমন দাবি করেছেন। মার্কিন বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এখবর জানিয়েছে।

দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক নিয়ে দোনবাস অঞ্চলটি। এটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে রুশ সেনারা আক্রমণ করে এগোতে চাইছে। অঞ্চলটি দখলের মাধ্যমে তারা দখলকৃত ক্রিমিয়ার সঙ্গে একটি স্থল করিডোর স্থাপন করতে চায়। একই সঙ্গে তারা অবরুদ্ধ শহর মারিউপোলের শেষ প্রতিরোধ ঘাঁটিও নিশ্চিহ্ন করতে চাইছে। এমনটিই জানিয়েছেন ইউক্রেনের সেনাপ্রধান।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনীয় বাহিনী দুটি অঞ্চলে রাশিয়ার আটটি হামলা প্রতিহত করেছে। এসময় রাশিয়ার ৯টি ট্যাংক, ১৮টি সশস্ত্র ইউনিট ও ১৩টি সামরিক যান, একটি ট্যাংকার ও তিনটি কামান ধ্বংস করা হয়েছে।

ফেসবুক পেজে তিনি বলেন, রুশ দখলদার বাহিনীর ইউনিটগুলো পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে, শত্রু রাশিয়ানরা সামরিক ও বেসামরিক অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।

লুহানস্কের গভর্নর শেরহি হাইদাই শনিবার জানান, পোপাসনা শহরে রুশ গোলাবর্ষণে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। ইন্সটাগ্রামে তিনি লিখেছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে শহরটিতে লড়াই চলছে, রুশ সেনারা অবিরাম বহুতল আবাসিক ভবনে গুলিবর্ষণ করছে। গতকাল একটি আবাসিক ভবনে পাঁচটি কামান হামলা হয়েছে। সবাই রক্ষা পায়নি।

ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সামরিক কর্মকাণ্ড বাড়ানোর পরও ইউক্রেনের পাল্টা হামলার মুখে গত ২৪ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য কোনও অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি রাশিয়ার সেনাবাহিনী।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ইউক্রেনীয় প্রতিরোধের কারণে রাশিয়া এখনও আকাশ বা সমুদ্রে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। এমনকি মারিউপোলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জয়ের দাবি করলেও লড়াই চলছে, শহর দখলের চেষ্টায় ব্যর্থতার কারণে রুশ সেনারা হতাশ। এতে দোনবাসের দিকে তাদের এগিয়ে যাওয়া মন্থর হয়ে পড়েছে।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানান, দোনবাসে মনোযোগ দিতে রাশিয়া মারিউপোল থেকে কিছু সেনা সেখানে মোতায়েন করছে। যেসব সেনারা রয়ে গেছে তারা ইউক্রেনীয় সেনাদের আজভস্টল স্টিল কারখানায় ঘিরে রেখেছে। এটি শহরটিতে ইউক্রেনীয়দের শেষ ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে।

শেয়ার করুন