ফের কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের আলোচিত ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর দশ জনপথের বাসভবনে হওয়া পাঁচ ঘণ্টার সেই বৈঠকে যোগ দেন কংগ্রেসের দুই মুখ্যমন্ত্রী, রাজস্থানের অশোক গহলৌত এবং ছত্তীসগঢ়ের ভূপেশ বঘেল। সূত্রের বক্তব্য, গত কয়েক দিনে কংগ্রেসের দীর্ঘমেয়াদি রণকৌশল তৈরি নিয়ে রাজ্য ধরে ধরে তার পরিকল্পনা পেশ করেছেন পিকে।
সংগঠন মজবুত করে দলকে পরবর্তী ভোটের জন্য প্রস্তুত করার পথ খুঁজতে সোনিয়া ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করেছেন। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা জানান, সেই কমিটি পিকের দেওয়া প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করে আগামী তিন দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
পিকের একের পর এক বৈঠকের জেরে তার কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনার বিষয়টিও চর্চায় উঠে এসেছে। কারো কারো মতে, নিজের শর্তে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন পিকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, পশ্চিমবঙ্গে গত বছরের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের প্রধান রাজনৈতিক কারিগর ছিলেন পিকে। নির্বাচনের পর সাধারণ মানুষের মনে একটা বদ্ধ ধারণা হয়েছিল, তিনি হয়তো তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন।
কিন্তু সম্প্রতি দিল্লিতে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার বিষয়টি জোরেশোরে প্রচারিত হয়।
সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠকে প্রশান্ত নিজেই কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভোটের মাঠে দলটির কৌশল কেমন হওয়া উচিত, সেটা নিয়েও একটি রোডম্যাপের কথা কংগ্রেস নেতাদেরকে বলেছেন তিনি। আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই পিকে যোগ দিতে পারেন কংগ্রেসে। তিনি এর আগে বিহারে নিতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দলের সহসভাপতি ছিলেন।