ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, র্যাবের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের’ যে অভিযোগ রয়েছে, তার সুরাহার জন্য ‘সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের’ কোনো সুযোগ নেই।
আজ রোববার রাজধানীর ‘ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্ট্যাডিজ’ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এই বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে আসছে সরকার। একইসঙ্গে কূটনৈতিক বিভিন্ন উদ্যোগও নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র–বাংলাদেশ অংশীদারত্ব নিয়ে সেমিনারে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, র্যাব এখন যেভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করছে, সেইভাবে বাহিনীটিকে কার্যকর দেখতে চান তারা। তবে তাদের মৌলিক মানবাধিকারও মেনে চলতে হবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে জোরাল নিরাপত্তা সহযোগিতা রয়েছে। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এই সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদ দমন, সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে বলে জানান পিটার হাস।