শুধু দুই ক্লাবের ছিল ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোতে এমন দাপট। একদিকে সিরি ‘আ’তে বছরের পর বছর লিগ জিতছিল জুভেন্টাস। অন্যদিকে বুন্দেসলিগার মসনদ দখল করে রেখেছে বায়ার্ন মিউনিখ। গত বছর ইতালিতে দিনবদল ঘটেছে। ইন্টার মিলান জুভেন্টাসের আধিপত্যে ছেদ টেনেছে। এ বছরও দুই মিলানের কোনো এক দল জিতবে শিরোপা। কিন্তু বুন্দেসলিগার আধিপত্য, সেটা যেন আর কখনোই শেষ হওয়ার নয়।
আজ দুই ম্যাচ আগেই বুন্দেসলিগার শিরোপা মীমাংসা হয়ে গেছে। লিগের সবচেয়ে বড় ম্যাচ দিয়েই। ডার ক্লাসিকারে মুখোমুখি হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। আজই বায়ার্ন যেন শিরোপা উৎসব না করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে নেমেছিল ডর্টমুন্ড। সে ক্ষেত্রে জয় ছাড়া আর কোনো পথ ছিল না। কারণ, ড্র হলেও শিরোপা জিতত বায়ার্ন। ড্র নয়, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের ৩-১ গোলে হারিয়েই শিরোপা জিতেছে। এ নিয়ে টানা ১০ বছর বুন্দেসলিগা জিতল বায়ার্ন। সর্বশেষ ২০১২ সালে অন্য কোনো দল জিতেছিল বুন্দেসলিগার শিরোপা, সেটা ইয়ুর্গেন ক্লপের ডর্টমুন্ড।
নিকট অতীতে ডার ক্লাসিকার আর আগের মতো জমছে না। অন্য দলগুলোর সঙ্গে যতই ভালো খেলুক না কেন, বায়ার্নের সামনে চুপসে যেত ডর্টমুন্ড। ঘরের মাঠেই লিগে প্রথমবারের দেখায় হেরেছে ৩-২ গোলে। জার্মান সুপার কাপেও হেরেছে ডর্টমুন্ড। আজও অন্য কিছু হয়নি। যে ম্যাচকে রবার্ট লেভানডফস্কি বনাম আরলিং হরলান্ডের ম্যাচ বলা হচ্ছিল, সে ম্যাচেই আবারও আড়ালে চলে গেছেন হরলান্ড।
ম্যাচের ১৫ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দিয়েছেন সার্জ ন্যাব্রি। ডর্টমুন্ডের বক্স থেকে বল ছিটকে এসেছিল তাঁর পায়ে। দারুণ নিয়ন্ত্রণে বল দখলে নিলেন এই উইঙ্গার। তারপর দুর্দান্ত এক ভলি। বক্সের বাইরে থেকে গোলার মতো সে শট ঠেকানোর উপায় ছিল না মারউইন হিৎজের। এরপর ১৪ মিনিট পর ব্যবধান বাড়িয়েছিলেন ন্যাব্রি। কিন্তু অফসাইডের কারণে সে গোল বাতিল করে ভিএআর। এ নিয়ে হাপিত্যেশ মাত্র ৫ মিনিট করতে হয়েছে বায়ার্নকে। ৩৪ মিনিটেই ২-০ করেছেন লেভানডফস্কি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাচটা জমবে বলে মনে হচ্ছিল। দারুণ ১৫টা মিনিট পার করেছে ডর্টমুন্ড। এর মধ্যে ৫২ মিনিটে মার্কো রয়েসকে বক্সে ফেলে দেন ইউশুয়া কিমিখ। পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান এমরে চান। ৬০ মিনিটে আরেকটি পেনাল্টির জোরালো আবেদন উঠছিল। কিন্তু জুড বেলিংহামকে বেঞ্জামিন পাভার ফেলে দিলেও সেটা আইন সংগত মনে হয়েছে রেফারি ও ভিএআরের।
এর পর ডর্টমুন্ডকে নিয়ে খেলেছে বায়ার্ন। নিজেদের পায়ে বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষকে হতাশ করেছে। প্রতি আক্রমণে ওঠার চেষ্টাগুলো দানা বাঁধছিল না ডর্টমুন্ডের। এর মাঝে বদলি নেমে ৮৩ মিনিটে ৩-১ করে ফেলেন জামাল মুসিয়ালা।