এবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইটা ছিল উদারপন্থী বনাম কট্টর ডানপন্থীর মধ্যে। সেই লড়াইয়ে জিতলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। হারলেন কট্টর ডানপন্থী মেরিন লঁ পেন। গত ২০ বছরের মধ্যে দেশটিতে প্রথমবারের মতো কোনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাখোঁ টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকছেন। খবর এএফপির।
ফ্রান্সের মূল ভূখণ্ডে গতকাল রোববার শুরু হয় প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই নেতার ভাগ্যনির্ধারণী চূড়ান্ত পর্বের ভোট গ্রহণ। ভোটে মাখোঁকেই এগিয়ে রেখেছিল জনমত জরিপ। সেটাই সত্যি হলো। ভোটের পর জরিপগুলোর ফলাফলে মাখোঁ ৫৭ থেকে ৫৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। এই ফল সাধারণত সঠিক হয়। সারাদেশ থেকে আসা ফল পরীক্ষা করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক ফলে পেন ৪১ দশমিক ৫ থেকে ৪৩ শতাংশ ভোট পেতে যাচ্ছেন।
তবে ২০১৭ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটের চেয়ে এবারের ভোটে দুই প্রার্থীর ব্যবধান কম। ওই নির্বাচনে পেনের বিরুদ্ধে ৬৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছিলেন মাখোঁ।
১০ এপ্রিল ফ্রান্সে নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সেবার গণনা হওয়া ৯৭ শতাংশ ভোটের মধ্যে মাখোঁ পান ২৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ। লঁ পেনের দখলে ছিল ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ ভোট। প্রথম পর্বে প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী ছিলেন ১২ জন। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম পর্বের ভোটে শীর্ষ দুই প্রার্থী দ্বিতীয় দফার ভোটে অংশ নেন।
গতকাল স্থানীয় সময় সকাল আটটায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ। শেষ হয় রাত আটটায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা)। প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছিল। এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিল নির্বাচন সংস্থা।
এবারের নির্বাচন ফরাসিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, মেরিন লঁ পেনকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে মনে করা হয়। তিনি জিতলে ফ্রান্স তো বটেই, সারাবিশ্বের জন্য তা হতো বড় ধাক্কা; যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয় কিংবা ব্রেক্সিটের পক্ষে যুক্তরাজ্যের মানুষের ভোটের সময় যেমনটা ঘটেছিল।