রাজধানী ঢাকার প্রায় প্রতিটি সড়কে যানবাহনের জটলা ও ট্রাফিক সিগন্যালে বসে থাকতে থাকতে পথচারী ও যাত্রীদের ক্লান্তি-ভোগান্তি চরমে উঠেছে। যাত্রীবাহী বাসগুলো সড়কের মধ্যে থেমেই যাত্রী ওঠা-নামা করা, দূরপাল্লার গাড়িগুলো রাজধানীর সড়কে পার্কিং করে রাখা, ট্রাফিক সিস্টেম ও সড়ক অব্যবস্থাপনার কারণেই সৃষ্টি হচ্ছে প্রচণ্ড যানজটের। আর দীর্ঘ যানজটে বসে থাকতে থাকতে মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বহু মূল্যবান সময়।
মগবাজার মোড় থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত পৌঁছাতে স্বাভাবিক অবস্থায় সময় লাগে মাত্র সাত মিনিট কিন্তু এই ৭ মিনিটের রাস্তাটি অতিক্রম করতে গতকাল সময় লেগেছিল প্রায় দুই ঘণ্টা এবং সংসদ থেকে বাংলা মোটর আসতে লেগেছিল প্রায় ১ ঘণ্টা!
এমতাবস্থায় আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে- রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে কারা আছেন? একটি ট্রাফিক স্পটে যদি ৩০-৪৫ মিনিট, কোনো কোনো জায়গায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা বসে থাকতে হয় তাহলে ট্রাফিক পুলিশ রাখার প্রয়োজন আছে কী? জনগণের সেবার জন্য যে প্রতিষ্ঠানটির পেছনে রাষ্ট্র কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে সেই প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা যদি জনগণের সেবার পরিবর্তে জনদুর্ভোগই সৃষ্টি করে তাহলে তাদের রেখে লাভ কী? যে রাস্তা পার হতে দুই থেকে আড়াই মিনিট লাগে সেই রাস্তায় ট্রাফিকের কারণে যদি দেড় ঘণ্টা বসে থাকতে হয় এরচেয়ে হতাশার আর কিছু হতে পারে না। এহেন পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের পরামর্শ, রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে আপনারা কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করুন এবং যারা যথার্থভাবে ট্রাফিক স্পটে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন তাদের হাতেই এটি অর্পণ করুন।
লেখক: সংসদ সদস্য, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা,
সম্পাদক, মত ও পথ