তেঁতুলতলা মাঠ: মধ্যরাতে মা–ছেলেকে ছাড়ল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে থানার ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ করায় আটক সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে পিয়াংসুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আটকের ১২ ঘণ্টা পর রোববার মধ্যরাত ১২টার দিকে তাদেরকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র পাল বিষয়টি সাংবাদিকদেরকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সৈয়দা রত্না ও তার ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। সরকারি কাজে তারা আর বাধা দেবেন না- এ অঙ্গীকারে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

universel cardiac hospital

এর আগে রোববার সকালে তেঁতুলতলা মাঠ থেকে রত্না ও তার ছেলেকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন সকালে রত্না মাঠে ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। লাইভ করার সময় বেলা ১১টার দিকে তাদেরকে আটক করা হয়েছিল। তবে এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবে না বলে জানায় পুলিশ।

এলাকাবাসী বলছে, তেঁতুলতলা মাঠে থানার ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে জোরালো ভূমিকা নেওয়ার কারণে সৈয়দা রত্না ও পিয়াংসুকে আটক করে পুলিশ।

কলাবাগান এলাকার খোলা একটি জায়গা তেঁতুলতলা মাঠ হিসেবে পরিচিত। শিশুদের খেলাধুলার পাশাপাশি সেখানে ঈদ নামাজ, জানাজাসহ বিভিন্ন সামাজিক আয়োজন হয়। সেই মাঠে থানার ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পান্থপথে কনকর্ড টাওয়ারের সামনে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।

‘কলাবাগান এলাকাবাসী’র ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় শিশু-কিশোর ও এলাকাবাসী অংশ নেয়।

ঢাকা জেলা প্রশাসন ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট এক নোটিশে জানায়, ডিএমপির কলাবাগান থানার নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য এই সম্পত্তি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সেই নোটিশে এই জমিকে পতিত হিসেবে উল্লেখ করা হয়। নোটিশ দেওয়ার পর থেকেই স্থানীয় লোকজন জায়গাটিকে মাঠ হিসেবেই রাখতে প্রতিবাদ করে আসছিলেন।

গত ৩১ জানুয়ারি কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে খেলতে যাওয়া কয়েক শিশুর কান ধরে উঠবস করায় পুলিশ। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় শিশু আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।

শেয়ার করুন