ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণ : বাবা-মায়ের পর চলে গেল শিশু সন্তানও

ঢামেক প্রতিবেদক

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ফাইল ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার কোনাপাড়া এলাকার একটি বাসায় ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে মা-বাবার পর এবার চলে গেলো দুই বছরের মেয়ে ফাতেমা আক্তার।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে বুধবার (২০ এপ্রিল) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানার কোনাপাড়া এলাকার একটি বাসায় ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ভোর পাঁচটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (২৪ এপ্রিল) দিনগত রাত ৪টার দিকে স্ত্রী মোছা. খাদিজা আক্তার (২৫) ও ৬টার দিকে স্বামী আব্দুল করিম (৩০) মারা যান।

দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা কামাল হোসেন জানান, দগ্ধ আব্দুল করিম তার ভাই। এলাকাতে তার একটি মুদি দোকান রয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরিত হয়ে তার ভাবি, ভাই ও দুই বছরের ভাতিজি দগ্ধ হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, যাত্রাবাড়ী কোনাপাড়া এলাকা থেকে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে হয়ে দগ্ধ বাবা-মায়ের পর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই বছরের শিশু ফাতেমা আক্তারও মারা গেছে। ফাতেমার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, যাত্রাবাড়ী কোনাপাড়া এলাকায় দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাদের দুই বছরের শিশু ফাতেমারও মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন