টেক-জায়ান্ট টেসলার সিইও ইলন মাস্ক টুইটারের মালিকানা কিনছেন রেকর্ড ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের পরিচালনা পর্ষদ মাস্কের কিনে নেওয়ার প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন। এর মধ্যে দিয়ে টুইটার ইলন মাস্কের নিয়ন্ত্রণে আসছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে টুইটারে বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে।
মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের কেনার প্রস্তাব দেওয়ার আগে টেসলার সিইও বলেছিলেন, টুইটারের যে অসাধারণ সম্ভাবনা আছে, তিনি তার পূর্ণাঙ্গ রূপ দেখতে চান। আর সে জন্য টুইটার নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বেশ কিছু নজরকাড়া পরিবর্তন আনছেন। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে- ব্যবহারকারীদের প্রত্যেকের ‘ব্লু-টিক’, ভুয়া অ্যাকাউন্ট যাচাইকরণ, অ্যালগরিদম উন্মুক্ত ও তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বর্তমানে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির ব্যক্তির টুইটার অ্যাকাউন্টে ‘ব্লু-টিক’ দেখা যায়।
তবে ইলন মাস্কের মালিকানায় আসার পরে ব্যবহারকারীদের মধ্যে এমন পার্থক্য থাকবে না। প্রত্যেক ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে ‘ব্লু-টিক’ দেখা যাবে। অর্থাৎ প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করা হবে।
এর মাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট পরিচালনাও বন্ধ হয়ে যাবে।
এর জন্য ব্যবহার করা হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। অনেকে ভুয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জনমত পরিবর্তনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেন। তবে আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই প্রবণতা কমিয়ে আনার বিষয়ে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে। যতক্ষণ আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তথ্যের প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে।
এসবের মধ্য থেকে ব্যবহারকারীদের তথ্যের বিষয়বস্তু নিজ উদ্যোগে বুঝতে হবে। অর্থাৎ কোনটা ভালো কোনটা খারাপ- সেটা ব্যবহারকারীরাই নির্ধারণ করবেন। অন্য কেউ মতামত চাপিয়ে দিতে পারবে না। এছাড়াও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আনা হবে আরও অধিকতর স্বচ্ছতা।
এদিকে ইলন মাস্কের নিয়ন্ত্রণে টুইটার আসলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি টুইটারে আর ফিরে আসবেন না। অন্যদিকে, টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হোয়াইট হাউস কার্যালয় কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষমতা নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেশ উদ্বিগ্ন।