গ্রামের বাড়িতে ঈদ করার উদ্দেশে আগভাগে রওনা দিয়েও নির্বিঘ্নে পদ্মা পাড়ি দিতে পারেননি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লোকজন । বুধবার সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে।
মঙ্গলবার সকালে এ রুটে আটটি ফেরি পারাপার শুরু করলেও বিকাল থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চলেছে মাত্র পাঁচটি। বহরে কমসংখ্যক ফেরি থাকায় গাড়ি পার হতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন শিমুলিয়া- বাংলাবাজার আর মাঝিকান্দি রুটের যাত্রীরা। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফেরি বেগম রোকেয়া সকাল ১০টায় সার্ভিসিং পয়েন্টে চলে যায়।
যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে বহরে আরও ফেরি বাড়ানোর পাশাপাশি ঘাটে শৃঙ্খলার দাবি করেছেন যাত্রীরা।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিনাঞ্চলের প্রবেশদ্বারখ্যাত মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে এখন পর্যন্ত চলছে ৫ থেকে ৬টি ফেরি। তবে ঈদকে সামনে রেখে ফেরিতে যানবাহনের চাপ না বাড়ায় ঘাটের পরিস্থিতি এখনও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। ঈদের ছুটি শুরু হলেই ফেরিতে ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাবে বলে ফেরি সংশ্লিষ্টরা জানান।
ঈদ ঘিরে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে যুক্ত হবে আরও তিনটি ফেরি। সব মিলিয়ে এই নৌরুটে দশটি ফেরি চলবে ঈদের আগে ও পরে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টা ফেরি সার্ভিস চালু হতে পারে শিগগিরই।
তবে বুধবার সকাল থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রীরা নদী পার হচ্ছে অনেক বেশি। লঞ্চে যাত্রীদের ভিড় বেশি।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দীন আহমেদ জানান, এখনও চাপ শুরু হয়নি। বৃহস্পতি-শুক্রবার থেকে ফেরিতে চাপ শুরু হবে। চলবে ঈদের প্রায় এক সপ্তাহ পর পর্যন্ত। দশটি ফেরি নিয়মিত চলাচল করবে নৌরুটে। এ বছর সব নৌযান চলাচল করায় যাত্রীদের চাপ কিছুটা সহনীয় থাকবে বলে মনে হচ্ছে।
বাংলাবাজার ঘাটে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আসিব বলেন, ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে ঘাট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকলে যানবাহন নিয়ে ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারবে বলে আশা করছি।
হাইওয়ে পুলিশের মাদারীপুর জোনের পুলিশ সুপার মো. হামিদুল আলম বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে মহাসড়কে আমাদের পর্যাপ্ত পেট্রল টিম থাকবে। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাইওয়ে পুলিশের টিম কাজ করবে। আমরা ঘাট এলাকায় ওয়াচ টাওয়ার করেছি পর্যবেক্ষণের জন্য। আশা করি যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরতে পারবে।