‘মুচলেকা’ নয়, মাঠ রক্ষার কথা ভাবছেন প্রতিবাদী রত্না

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশকে দেওয়া ‘মুচলেকা’ নয়, রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার কথাই ভাবছেন প্রতিবাদী সৈয়দা রত্না। ওই মাঠ নিয়ে আন্দোলন করব না- এমন ‘মুচলেকা’ দেওয়া এ নারী নিজের ছেলেকে নিয়ে আবার মাঠে এসেছেন, অংশ নিয়েছেন ওই মাঠে আয়োজিত আন্দোলন কর্মসূচিতে।

আজ বুধবার দুপুর থেকে তিনি তেঁতুলতলা মাঠে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি, দেয়াল লিখন ও সাইনবোর্ড টানানো কর্মসূচিতে অংশ নেন। বিকেল পর্যন্ত তিনি মাঠ রক্ষা আন্দোলন কমিটির নেতাদের সঙ্গে ছিলেন।

universel cardiac hospital

এ সময় তিনি বলেন, মাঠ রক্ষা আমাদের প্রাণের দাবি। মাঠ রক্ষা এখন আমার একার আন্দোলন নয়, সবার আন্দোলন। মাঠি ফিরে পাক শিশুরা। আবারও তৈরি হোক প্রাণচাঞ্চল্য।

গত সোমবার ঢাকার তেঁতুলতলা খেলার মাঠ রক্ষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমাজকর্মী সৈয়দা রত্না ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ ঈসা আব্দুল্লাহকে তুলে নিয়ে যান কলাবাগান থানার কয়েক পুলিশ। মাঠ রক্ষায় আর আন্দোলন করবেন না, পুলিশকে এমন মুচলেকা দেওয়ার পর ছাড়া পান মা ও ছেলে। তাঁদেরকে ওই দিন পুলিশ ১৩ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখেন। যা নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ হয়।

এদিকে আজকের ওই সমাবেশে থানা ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে তেঁতুলতলা মাঠ শিশু-কিশোরদেরকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার, পরিবেশ আন্দোলন ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা। অন্যথায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ঘেরাওসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

এরপর মাঠের সীমানা ঘেঁষে ১৪টি দেশীয় গাছ রোপণ করা হয়। পাশাপাশি একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।

প্রতিবাদ সমাবেশে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, যারা এখানে খেলে, যারা এ মাঠের প্রকৃত মালিক; তারা এখানে আছে। তারা প্রতিবাদ করছে মাঠ কেন দখল করা হচ্ছে? আমরা সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করছি, সরকারের উচ্চপর্যায়ে কথাবার্তা হচ্ছে। অবিলম্বে এখানে থানা ভবন নির্মাণ বন্ধ হোক।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী কমিটির মহাসচিব নূর খান, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন