সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক পদে পুনরায় ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সমিতি ভবনের তৃতীয় তলার সম্মেলনকক্ষের সামনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে হইচই, হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার বেলা সোয়া তিনটা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো সমিতি ভবনে পরস্পরবিরোধী অবস্থান করেন দুই পক্ষের আইনজীবীরা।
সমিতি কক্ষের কাচ ভাংচুরের পাশাপাশি একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। এদিকে বিকেল চারটা থেকে সমিতির সম্মেলনকক্ষে ভোট গণনা শুরু করেন অজি উল্লাহর নেতৃত্বাধীন নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত নতুন উপকমিটি।
গতকাল মঙ্গলবার আইনজীবী অজি উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ১২ এপ্রিল সমিতির কার্যকরী কমিটির মেয়াদের শেষ এক সভায় তাঁকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি নির্বাচন উপকমিটি করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী সমিতির সম্পাদক (নীল প্যানেল থেকে সম্পাদক পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী) হিসেবে রুহুল কুদ্দুস দাবি করেন, ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সভার কোনো আইনি ভিত্তি নেই। কাজেই ওই সভায় গৃহীত যে কোনো সিদ্ধান্ত অবৈধ।
এর আগে ১৫ ও ১৬ মার্চ সমিতির নির্বাচনে (২০২২-২৩) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪টায় ভোট গণনা শুরু হয়, চলে রাত পর্যন্ত। সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রার্থী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির ভোটে এগিয়ে ছিলেন।
সম্পাদক পদে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস (বিদায়ী সম্পাদক) তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুন নূরের চেয়ে কিছু ভোটে এগিয়ে ছিলেন। ওই রাতে একপর্যায়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সাদা প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী আব্দুন নূর পুনরায় ভোট গণনা চেয়ে নির্বাচন পরিচালনা–সংক্রান্ত আহ্বায়ক কমিটির কাছে আবেদন করেন।
এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে হইচই-হট্টগোল হয়। এরপর ভোটের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে গত ৩০ মার্চ বিকেলে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি জরুরি সভায় বসে।