ঢাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

ঢাকায় বসবাসরত ব্রাহ্মণবাড়িয়াবসীদের প্রাণের সংগঠন ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, ঢাকা’-এর দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন এলডি হলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, মত ও পথ সম্পাদক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, ঢাকা-এর সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি’র সভাপতিত্বে সমিতির দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভা ও ইফতার মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, ঢাকা-এর সাধারণ সম্পাদক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোঃ খলিলুর রহমান এবং সমিতির অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দীন মঈনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ, মাধ্যমকি ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ও বিশিষ্ট সমাজকর্মী অ্যারোমা দত্ত, সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য উম্মে ফাতেমা শিউলী আজাদ, যুগ্ম-সচিব রাব্বী মিয়া, যুগ্ম-সচিব সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খানসহ ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ‘আমার মনে অনেক কথাই জমা রয়েছে, যেগুলো বললে হয়তো আপনারা অনেকেই কষ্ট পাবেন, এজন্য বলছিনা; কারণ শত বছরের পুরোনো ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন যখন পুড়িয়ে দেওয়া হলো তখন আপনারা অনেকেই দেখতে যান নাই। সবচেয়ে অবাক লাগে, কেউ এই ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দাটুকুও জানাননি। আপনারা ছবি দেখলে চিনবেন কারা এই কাজটি করেছে, অথচ তাদেরকে চিহ্নিত করে বলা যে এরা এরা এই কাজটি করেছে, এরা দুষ্কৃতিকারী, এদের নামের আগে কোনো রকমের শব্দ (মাওলানা, মুফতি…) থাকা উচিত না, এই কথাটি আমার মতো বেকুব ছাড়া আর কেউ বলেননি। দেড়শ বছরের পুরোনো পৌরসভা, ভূমি অফিস, ওস্তাদ আলাউদ্দীন খা সঙ্গীতাঙ্গন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত্বর, সমস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আড়াই হাজার বছর পশ্চাৎ এ নিযে যাওয়ার জন্য যারা চেষ্টা চালায় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য আমরা মানুষ খুঁজে পাই না।

তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতিসন্তান নবাব শামসুল হুদা, ব্যারিস্টার আব্দুর রসূলের দেখানো পথ অনুসরণ করে আমরা সবাই মিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে একটি সমৃদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সমৃদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানে কিন্তু সমৃদ্ধ বাংলাদেশও কারণ ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে অন্ধকারে রেখে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হতে পারে না, তেমনিভাবে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে সমৃদ্ধ করতে হবে।

ইফতারের আগে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

শেয়ার করুন