রাশিয়া যে কোনো বাণিজ্যকে অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
গত রাতে দেওয়া একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা জানান। খবর বিবিসির।
জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইউরোপকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য জ্বালানিকে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, বুধবার পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দেখিয়েছে যে, ‘ইউরোপে কেউই রাশিয়ার সঙ্গে স্বাভাবিক কোনো অর্থনৈতিক সহযোগিতা বজায় রাখার আশা করতে পারে না’।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, শুধু গ্যাস নয়, রাশিয়া যে কোনো বাণিজ্যকে অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করে। দেশটি বাণিজ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য সুযোগের অপেক্ষায় থাকে।
জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া ‘ঐক্যবদ্ধ ইউরোপকে লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে দেখে এবং যত তাড়াতাড়ি এ মহাদেশের সবাই এ বিষয়ে একমত হবেন যে— বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রাশিয়ার ওপর নির্ভর করা যায় না তত তাড়াতাড়ি সেখানে স্থিতিশীলতা আসবে।
এদিকে ইউক্রেনের পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক ও কোটা প্রত্যাহার করায় স্বাগত জানান জেলেনস্কি। তিনি বলেন, রাশিয়া আন্তর্জাতিক বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়—বিশেষ করে খাদ্যের বাজারে।
‘ইউক্রেনের রপ্তানি বাজারকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে এবং সংকটের সময়ে অর্থনীতিকে সহায়তা করবে’, যোগ করেন তিনি।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে দেশটিতে রুশ সেনারা ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে। এখন মস্কো লড়ছে ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলকে মুক্ত করার জন্য। যুদ্ধ শুরুর দুই মাস পেরিয়ে গেলেও পশ্চিমাদের সহায়তায় নিজেদের রক্ষায় কিয়েভ প্রতিরোধ অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে।