এশিয়ার দেশ হয়ে যাচ্ছে রাশিয়া

ব্র্যানডন জে উইচার্ট

নিষেধাজ্ঞার চাপে এক ‘বৈরী শিল্পায়নের’ মুখোমুখি রাশিয়া। এক খবরে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এই তিক্ত শিরোনাম করেছে। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের দায়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নির্বিচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সরকারগুলো। এতে ১৯৯০ দশকের মতো দীর্ঘ ও গভীর মন্দায় পড়তে যাচ্ছে মস্কো।

নিশ্চিতভাবেই নিকট-ভবিষ্যতে রুশ অর্থনীতিতে বড় আঘাত হেনেছে নিষেধাজ্ঞা। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি দীর্ঘ-মেয়াদে বিস্তৃত পরিসরের সামরিক অভিযান পরিচালনার সক্ষমতাও কমে আসবে রাশিয়ার।

সোমবার স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) উপাত্ত বলছে, ২০২১ সালে সামরিক খরচে শীর্ষ পাঁচ দেশ যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়া। সামরিক খরচে বিশ্বের পঞ্চম স্থানে মস্কো। অর্থাৎ বর্তমানে তারা খাতে খরচের দিক দিয়ে ভারত ও যুক্তরাজ্যের চেয়েও পিছিয়ে রয়েছে।

পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে রুশ প্রতিরোধ ও ইউক্রেন অভিযানে রাশিয়ার আপসহীন অবস্থান এ নিষেধাজ্ঞার কারণেই। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো—এসব সত্ত্বেও ইউক্রেনে নিজেদের চলমান পদক্ষেপের ধারা থেকে সরে আসতে নারাজ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলস মস্কোকে অর্থনৈতিকভাবে যত কঠিনভাবেই ঠেসে ধরুক না কেন; ইউক্রেন অভিযানে তারা অবিচল।

সত্যিকার অর্থে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে অর্থনৈতিক আঘাত হানা হয়েছে; তা থেকে বাঁচতে নতুন ও গতিশীল সব কৌশল বেছে নিয়েছে মস্কো। ইউক্রেন অভিযানের সাজা দিতে রাশিয়ার সস্তা ও গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানিতে পশ্চিমারা যখন আংশিক স্ব-আরোপিত মোরাটোরিয়াম কার্যকর করেছে, তখন মস্কো তার জ্বালানি প্রবাহ ইউরোপ থেকে দূরপ্রাচ্যের—বিশেষ করে ভারত ও চীনের—লোলুপ বাজারগুলোতে সরিয়ে নিয়েছে।

পশ্চিমাদের শাস্তির মুখে মস্কোর বিকল্প ‘অর্থনৈতিক অবলম্বন’ হিসেবে ভূমিকা রাখছে বেইজিং। কিন্তু চীন কিংবা ভারতের অর্থনৈতিক সহায়তা নিকট-মাঝারি-দীর্ঘ মেয়াদে রাশিয়ার ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারবে না। তবে বাস্তবিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বাধীনতার পথ তৈরিতে রাশিয়াকে শক্তিশালী করবে নিষেধাজ্ঞা। পশ্চিমাদের থেকে পুরোপুরি আলাদা একটি স্বতন্ত্র আর্থিক ব্যবস্থা তৈরি করতে পারবে মস্কো। ইউক্রেন সংকট দেখা না দিলে স্বাভাবিকভাবে রাশিয়া হয়ত আগে এমন কিছু ভাবত না।

নিজের আর্থিক ও বাণিজ্যিক সংকটে রাশিয়া অনেক বেশি চীনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা পাশা কাটাতে অভিনব সব পথ বের করেছে জার্মানি ও ফ্রান্স। দেশ দুটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি ও সামরিক শক্তিধর। রাশিয়ার কাছে তারা ২৩ কোটি পাউন্ডের অস্ত্র বিক্রি করেছে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করা হলে মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

কিন্তু আইনের বিভিন্ন ফাঁকফোকর ব্যবহার করে ঠিকই রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছে জার্মানি ও ফ্রান্স। কাজেই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে টিকে থাকতে রাশিয়াকেও নিজস্ব কোনো উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

কার্যত, সম্প্রতি শেষ হওয়া নর্ড স্ট্রিম ২ গ্যাস পাইপলাইন বাতিল করে দিয়েছে জার্মানি। যদিও রাশিয়ার গ্যাসের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ইউরোপীয় দেশটি। যে কারণে দীর্ঘদিনের নর্ড স্ট্রিম ওয়ান পাইপলাইন থেকে সরে আসেনি বার্লিন। এই পাইপলাইনের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে জার্মানির ই.অন কোম্পানি। কিন্তু ইউক্রেন সংকট সত্ত্বেও তারা রাশিয়ার সঙ্গে গ্যাস পাইপলইন বাতিল করেনি।

তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে, রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রবাহ কোনোভাবেই তারা বিচ্ছিন্ন করবে না। পরিস্থিতি যখন এমন, তখন মস্কো দাবি করে বসল—তাদের সব প্রাকৃতিক গ্যাস ও জ্বালানির মূল্য রুবলে শোধ করতে হবে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কল্যাণে নিজেদের মুদ্রা শক্তিশালী করে নিল রাশিয়া।

ইতিমধ্যে চলতি এপ্রিলেই বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে (বিজিবিএস) অংশ নিয়েছে রাশিয়ার একটি প্রতিনিধ দল। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা ও তর্জন-গর্জন সত্ত্বেও বিজিবিএস-২০২২ এর আয়োজকেরা সম্মেলনে রাশিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করতে জিদ ধরেছিলেন। বিষয়টি সম্প্রতি রাশিয়ার নৌমহড়ার সময়ে প্রশান্ত মহাসাগরে চীনা রণতরীর পাশাপাশি রাশিয়ার রণতরী পরিচালনার মতোই।

কাজেই যা কিছু আমরা দেখছি, তা কেবল রাশিয়ার সম্পূর্ণ পরাজয় না। যদিও পুতিন বাহিনীর অভিযানের বিরুদ্ধে সামরিক জোট ন্যাটোর সহায়তায় জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেন। বরং সবাই একটি পশ্চিমাপন্থী রাশিয়ার মৃত্যু দেখতে পাচ্ছেন, আর একটি এশীয় রাশিয়ার আবির্ভাব ঘটছে।

পুরনো অভ্যাস সহজে মরে না

কিন্তু এরূপ পরিণতি আপাতত রাশিয়ার জন্য ক্ষতিকর হলেও সুদূরপ্রসারী দেশটির নেতৃবৃন্দকে তেমন বিপাকে ফেলতে পারবে না। বিশেষ করে রাশিয়াকে শাসন করা সিলোভিকিরা বহাল তবিয়তেই থাকতে পারবেন।

সিলোভিকি হলো সাবেক সোভিয়েত কেজিবি ও রেডআর্মি। তারা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন দেখেছেন এবং বিশ্বাস করেন যে এটি ২০ শতকের সবচেয়ে বড় ভূরাজনৈতিক বিপর্যয়। বরিস ইয়েলৎসিন ও তার ক্যাডাররা যখন রাশিয়াকে উদারীকরণ করছিলেন, দেশটিকে পশ্চিমাদের অংশ করতে চেষ্টা চালাচ্ছিলন, তখন সেই বিভৎসতা সরাসরি দেখেছে কট্টরপন্থী এই গোষ্ঠী।

কিন্তু সিলোভিকিদের কথা বললে সবার আগে সেই প্রবাদটিই চলে আসে: পুরনো অভ্যাস সহজে মরে না। কিংবা অভ্যাসই শেষ পর্যন্ত প্রকৃতিতে পরিণত হয়ে যায়। অর্থাৎ চিরদিনই পশ্চিমাদের ঘোর শত্রু হিসেবে গণ্য করে যেতে থাকলেন তারা।

১৯৯০-এর দশকে রাশিয়ায় অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা লেগেই ছিল। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় নিজেদের শক্তিশালী ভূরাজনৈতিক অবস্থান শেষ হয়ে যাওয়ায় রাশিয়াকে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে হয়েছে। রাশিয়ার আপত্তি উপেক্ষা করে বলকান অঞ্চল ও পূর্ব ইউরোপের সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলোকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ছিল চেচনিয়া সংকট। এসব কিছুকে ঠাণ্ডা যুদ্ধের পর রাশিয়াকে অবমূল্যায়ন হিসেবে দেখছেন সোলিভিকিরা।

মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক তাত্ত্বিক আলেক্সান্ডার দুগিন তার ‘নতুন-ইউরেশিয়াবাদ’ তত্ত্বের বিস্তারিত কাজ প্রকাশ করছেন। এতে বলা হয়, সাংস্কৃতিকভাবে পূর্ব ইউরোপের চেয়ে এশিয়ার ঘনিষ্ঠ রাশিয়া। ইউরেশিয়া পার্টি নামে তার একটি রাজনৈতিক দলও আছে।

দুগিন মনে করেন, সার্বিকভাবে রাশিয়া পশ্চিমাদের অংশ না। কোথাও কোথাও পশ্চিমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। পূর্বাঞ্চলীয় অর্থোডক্স খ্রিস্টধর্মের মতো যেসব ক্ষেত্রে মিল আছে, তা মঙ্গোলীয়দের অভিযানের কারণে। এক হাজার বছর আগের ওই অভিযান রাশিয়াকে মৌলিকভাবে বদলে দিয়েছিল। তখন এটি এমন একটি অস্তিত্বে রূপ দিয়েছে, যেটি কেবল আংশিকভাবে পশ্চিমাদের উপকরণ ছিল, কিন্তু এশিয়ারও অংশ ছিল।

পিটার দ্য গ্রেট যতখন পর্যন্ত রাশিয়ার জার ছিলেন, পশ্চিমাদের প্রতি মোহগ্রস্ত ছিলেন রুশ নেতারা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পুতিনের ইউক্রেন অভিযান রুশ নীতির গঠনের বদলকে জোরদার করেছে। যে কারণে তারা পশ্চিমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রাচ্যের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।

নতুন-ইউরেশীয়পন্থী ও সিলোভিকিরা দীর্ঘদিন থেকে এমনটিই চেয়েছিলেন। বর্তমানে কোনো বিকল্প রুশ অভিজাতদের সামনে হাজির নেই। তাদেরকে দিক পরিবর্তন করে পশ্চিম থেকে পূর্বমুখী হতে হচ্ছে। অথবা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় তাদের বরবাদ হয়ে যেতে হবে, বাড়াতে হবে দুশমনি।

আর জার তৃতীয় আলেক্সান্ডারের দীর্ঘ-বিলম্বিত স্বপ্ন পূরণ করে এভাবেই রাশিয়া একটি এশীয় দেশে পরিণত হচ্ছে। ট্রান্স-সাইবেরীয় রেলপথ নির্মাণ করে রাশিয়ার অনুন্নত প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল রেখাকে অধিক উন্নত ইউরোপীয় অংশের সংযুক্ত করেছিলেন তিনি। রুশ সাম্রাজ্যের ইতিহাসে সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে এটির গুরুত্ব বিশদ। ১৮৯১ সালের ৯ মার্চ রেলপথটির নির্মাণ শুরু, শেষ হয় ১৯০৪ সালের ২১ জুন।

পশ্চিমাদের অপ্রতিরোধ্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপে আত্মসমর্পণ না করে কিংবা সম্ভাব্য জার ভ্লাদিমির পুতিনকে না সরিয়ে বরং তার দিকেই আরও বেশি ঝুঁকে পড়েছেন রুশরা।

দেশটিতে এখন পুতিনপন্থীদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। যে কোনো মূল্যে শত্রুদের প্রতিরোধে তারা রাশিয়ার ঐতিহ্যগত পথে ঢুকে পড়েছেন। এতে যদি দেশের অভ্যন্তরে কোনো একনায়ককে আরও ক্ষমতায়ন করতে হয়, তাতে আপত্তির কিছু নেই তাদের।

পেছনে ফেরার সুযোগ নেই

অদূর ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে অচলাবস্থা থাকছে না বলে ভুল ধারণা করে বসে আছেন অনেক পশ্চিমা অভিজাত। তাদের ধারণা যে সঠিক না, অচিরেই তা প্রমাণিত হবে। পুতিনের পদত্যাগ কিংবা রাশিয়ায় গণতন্ত্রায়ন অথবা রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ঐক্য ভেঙে পড়ার মাধ্যমে তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার কথা। কিন্তু সেসবের কিছুই ঘটতে যাচ্ছে না। কাজেই ২০২২ সালের আগে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের যে সম্পর্ক ছিল, সেই অবস্থা আর কখনোই ফিরবে না।

মস্কো এমন একটি জায়গায় পৌঁছে গেছে, যেখান থেকে আর ফিরে আসা যাবে না। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোও একই পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়েছে। ২০১৭-১৮ সালেও চীনের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে ব্যবহারের স্বপ্ন দেখা হয়েছিল পশ্চিমা রাজনৈতিক অঙ্গণে। কিন্তু সেই স্বল্প কয়েকটি দিনের স্বপ্ন বহু আগেই ধুলোয় মিশে গেছে। ওয়াশিংটনের নেতৃবৃন্দকে ইউরেশিয়ার এক যন্ত্রণাময় বাস্তবতাকে মেনে নিতে হচ্ছে। এতে রাশিয়ার পাশাপাশি চাইনিজদের নেতৃত্বে আমেরিকানবিদ্বেষী একনায়কেরা এসেও জড়ো হয়েছেন।

পরিস্থিতির চাহিদা অনুসারেই কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। কিন্তু ইউরেশিয়ায় আমেরিকার প্রভাব বিস্তারের বাস্তবিক ও প্রচণ্ড সীমাবদ্ধতাও সেই কৌশলের ভেতরে মনে নিতে হবে। রাশিয়ার প্রখ্যাত কবি আলেক্সান্ডার ব্লক বহু আগেই সত্যটি বলেছেন।

আমরা সিথিয়ানস, আমরা এসিয়াটিকস

ওহ, হ্যাঁ—আমরা সিথিয়ানস! হ্যাঁ—আমরা এশিয়াটিকস,
লোলুপ, বাঁকা চোখগুলো…যেন অনুগত সব দাস,
দুই শত্রুর মাঝে আমরা শক্তভাবে ঢাল ধরেছি—
মঙ্গোল ও ইউরোপ!
উল্লাস, শোক ও রক্তে ভেজা,
রাশিয়া রহস্যময় স্ফিংকস, স্থিরচোখে তোমাকে দেখছে
ঘৃণা ও ভালোবাসা নিয়ে
প্যারিসের সেই সড়কগুলোর কথা স্মরণ করি
এবং ছায়ায় ঢাকা ভেনিস
লেবু বনের সুগন্ধ
কুয়াশায় ঠেকে যাওয়া কলোন পাহাড়ে
আমরা সরে দাঁড়াব
ইউরোপীয় লাবণ্য ও সৌন্দর্যের সামনে থেকে
এবং আমাদের এশিয়াটিক মুখচ্ছবি নিয়ে
তোমাদের দিকে ঘুরে দাঁড়াব।

দুঃখজনক হলেও একটি বিষয় আমেরিকান নেতাদের মেনে নিতে হবে—রাশিয়া একটি এশীয় দেশ হয়ে যাচ্ছে…এতে আমাদের জীবদ্দশায় দেখে যাওয়া বিশ্বজুড়ে আমেরিকার প্রভাবের অবসান ঘটবে, পাশাপাশি ইউরেশিয়ায় সহজ প্রবেশ থেকেও বঞ্চিত হতে হবে আমেরিকাকে।

লেখক: ব্র্যানডন জে উইচার্ট, ‘উইনিং স্পেস: হাউ আমেরিকা রিমেনস অ্যা সুপারপাওয়ার’ গ্রন্থের প্রণেতা, দ্য ওয়াশিংটন টাইমস ও রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিকসে নিয়মিত কলাম লিখছেন। এশিয়া টাইম থেকে লেখাটি অনুবাদ করেছেন আতাউর রহমান রাইহান।

শেয়ার করুন