যাত্রী কম থাকায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে শুক্রবার রাতে বেশিরভাগ গন্তব্যের উদ্দেশে লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। ফলে অনেক যাত্রীকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘাটের পন্টুনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
যাত্রীরা অনুরোধ করলে লঞ্চের কর্মচারীরা জানান, যাত্রী না হওয়ায় তারা সকালে ছেড়ে যাবেন। তবে রাত ১১টা পর্যন্ত বরিশালগামী লঞ্চের বেশিরভাগ ছেড়ে গেছে।
এদিকে দেশের ১৬টি জেলায় কালবৈশাখী ধেয়ে আসছে। এরই মধ্যে আটটি জেলায় কালবৈশাখী ও দমকা বাতাস শুরু হয়েছে। আজ রাতের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের উত্তরাঞ্চল, ময়মনসিংহ বিভাগ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে ওই ঝড় শুরু হতে পারে। এ সময় দেশের নয়টি জেলার নদীবন্দরগুলোর জন্য ২ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তবে ভোলাগামী কর্ণফুলী-৯, এমভি বালিয়া ঘাটে ভেড়ানো ছিল। এসব লঞ্চ সকালে ছেড়ে যাবে বলে কর্মচারীরা জানিয়েছেন। ঢাকা-আয়েশাবাগগামী কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চটি ঘাটে ফিরে এলেও আর ছেড়ে যায়নি। যাত্রীরা উঠতে চাইলে কর্মচারীরা জানান, যাত্রী হলে সকালে ছেড়ে যাবেন তারা।
পটুয়াখালীর বগাগামী সাত্তার খান-১ লঞ্চের সামনে ভিড় করতে দেখা গেছে অনেক যাত্রীকে। পর্যাপ্ত যাত্রী না হলে এই লঞ্চও ছাড়া হবে না বলে জানান কর্মচারীরা।
ঢাকা নদীবন্দর কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, যাত্রীরা আগে থেকে খবর নিয়ে এলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হতো না। তাছাড়া হাতিয়া রুটে চলাচলকারী নৌযানগুলোর বেক্রসিং সনদ প্রয়োজন হয়। ফলে চাইলেই এই নৌপথে অন্য নৌযানকে অনুমতি দেওয়া যায় না।