ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ঘিরে কক্সবাজারে ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসার লক্ষ্য

কক্সবাজার প্রতিনিধি

দরজায় কড়া নাড়ছে সীমাহীন খুশির ঈদুল ফিতর। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছরের দুই ঈদে সৈকতে পর্যটকের সমাগম তেমন ঘটেনি। তবে এবারের ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে অবস্থিত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে যাচ্ছেন অন্তত ১০ লাখ পর্যটক। ইতিমধ্যে পাঁচ শতাধিক হোটেল–মোটেল, গেস্টহাউস, রিসোর্ট, কটেজের ৬০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।

ঈদের আগে অবশিষ্ট কক্ষগুলোও ভাড়া হয়ে যাবে বলে মনে করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছেন, এবার কক্ষভাড়ার বিপরীতে বিশেষ কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। তবে অতিরিক্ত চাপের অজুহাতে পর্যটকের কাছ থেকে যেন অতিরিক্ত কক্ষভাড়া আদায় না করা হয়, সে বিষয়ে তৎপর থাকবেন জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত ও হোটেলমালিকদের পৃথক পর্যবেক্ষক দল।

universel cardiac hospital

হোটেলমালিকদের ধারণা, ঈদের পরদিন থেকে টানা সাতদিন পর্যটকের সমাগম থাকবে এই সৈকতে। এ সময় হোটেল, রেস্তোরাঁসহ পর্যটনসংশ্লিষ্ট নানা খাতে ব্যবসা হবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার।

কক্সবাজার শহরের সাতটি পৃথক হোটেল ও রেস্তোরাঁমালিকদের সংগঠনের সমন্বিত মোর্চা ফেডারেশন অব ট্যুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ ১৬ দিনে সৈকতে সমাগম হয়েছিল অন্তত ১৫ লাখ পর্যটকের। এরপর উল্লেখযোগ্য হারে পর্যটকের তেমন সমাগম ঘটেনি। এবারের ঈদের ৭ দিনের ছুটিতে ১৫ লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সেন্ট মার্টিনে পর্যটকের যাতায়াত বন্ধ থাকায় ১০ লাখ পর্যটক আসতে পারেন।

পর্যটকদের স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যে হোটেল, রেস্তোরাঁসহ বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে সাজসজ্জা ও সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। সৈকতের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউসে দৈনিক ১ লাখ ৬০ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের ব্যবস্থা আছে। চাপ বেড়ে গেলে হোটেলের কক্ষে পর্যটকদের গাদাগাদি করে রাখতে হয়।

শেয়ার করুন