রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকার, শ্রমিক-মালিকসহ সব উন্নয়ন অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। আগামীকাল মহান মে দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
‘শ্রমিক-মালিক একতা, উন্নয়নের নিশ্চয়তা’ এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এবার মহান মে দিবস পালন হবে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। স্বাধীনতার পর মে দিবস রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়। জাতির পিতা মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং তিনি শ্রমিকদের জন্যও নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে জাতির পিতার উদ্যোগ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তজার্তিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলও-র ৬টি কোর কনভেনশনসহ ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। এটি শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের অধিকার রক্ষায় এক অনন্য স্বীকৃতি। সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদে সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতসহ কৃষক ও শ্রমিককে সব ধরনে শোষণ থেকে মুক্তি দেওয়ার অঙ্গীকার রয়েছে।
আবদুল হামিদ বলেন, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার সুরক্ষায় শিল্প ও শ্রমিক সংক্রান্ত সব আইনের সমন্বয় করে ২০০৬ সালে প্রণীত হয় ‘শ্রম আইন, ২০০৬’ যা ২০১৩ ও ২০১৮ সালে ব্যাপকভাবে সংশোধন করা হয়। শ্রম আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে ২০১৫ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘শ্রম বিধিমালা ২০১৫’। এ ছাড়া ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতিমালা, ২০১৩’ এবং গৃহশ্রমিকের সুরক্ষায় ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি, ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই শিল্প-বাণিজ্যসহ দেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির দিকে- মহান মে দিবসে এ প্রত্যাশা সবার।
