বরিশাল মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার আজ সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে। এজন্য অর্ধশতাধিক মসজিদে ঈদুল ফিতরের আগাম জামায়াতের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সব মসজিদে আজ সকাল ৯টায় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার যারা ঈদ পালন করবেন, তারা চট্টগ্রামের চন্দনাইশের জাহাগীরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফের অনুসারী। পৃথিবীর কোনো প্রান্তের আকাশে চাঁদ দেখা গেলে এর সাথে তাল মিলিয়ে তারা রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাসহ যাবতীয় ধর্মীয় আচার পালন করেন।
বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠীর হাজিবাড়ির শাহসুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আমির হোসেন জানান, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাগরদী, তাজকাঠীসহ আশপাশের প্রায় ৫০০ পরিবার সোমবার ঈদ পালন করবে।
তিনি বলেন, সোমবার তাদের ওয়ার্ডের যেসব পরিবার ঈদ পালন করবেন, তারা চট্টগ্রামের চন্দনাইশের শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফের অনুসারী। বরিশাল নগরীসহ জেলার ৫০টি মসজিদে চন্দনাইশ দরবারের অনুসারীরা ঈদের নামাজ পড়াবেন।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হরিনাফুলিয়ার চৌধুরীবাড়ি শাহসুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদের সভাপতি মমিন উদ্দিন কালু জানান, তাদের ওয়ার্ডেও সোমবার ঈদপালন করবে প্রায় এক হাজার পরিবার। নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ড ও দপদপিয়া এলাকারও পাঁচ শতাধিক পরিবার সোমবার ঈদের নামাজ পড়ে ঈদ উদযাপন করবে।
জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলায় চন্দনাইশ দরবার শরিফের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অনুসারী রয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলার খানপুরা গ্রামের আব্দুর রশিদ শিকদার স্মৃতি জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাবুগঞ্জের খানপুরা, কেদারপুর, মাধবপাশাসহ ৫ থেকে ৬টি গ্রামের এক হাজারের বেশি পরিবারে সোমবার ঈদ উদযাপিত হবে।
জানা যায়, মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ ও সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন, পতাং, লাহারহাট গ্রামের চন্দনাইশ দরবারের প্রায় দুই হাজার অনুসারী রয়েছেন। তারা সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন।