ইউক্রেনে হামলার জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশগুলো রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। এবার নিষেধাজ্ঞার তালিকা আরও দীর্ঘ করতে যাচ্ছে ইউরোপের দেশগুলোর এই জোট। স্থানীয় সময় আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডার লিয়েন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার জ্বালানি তেল, ব্যাংক, গণমাধ্যম ও ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে নতুন প্রস্তাব আনা হয়েছে। ইইউয়ের সদস্যদেশগুলোর অনুমোদন পেলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
নিষেধাজ্ঞার নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, রাশিয়ার জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমাবে ইইউ। উরসুলা ফন ডার লিয়েনের ভাষ্যমতে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেলের আমদানি বন্ধ করা হবে। আর ২০২২ সালের শেষ নাগাদ বন্ধ হবে পরিশোধিত তেলের আমদানি।
তেলের পাশাপাশি রাশিয়ার রপ্তানি আয়ের বড় অংশ আসে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। তবে ইইউয়ের প্রস্তাবে গ্যাস আমদানি বন্ধের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর জন্য রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প উৎস খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে।
এদিকে আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সুইফট থেকে রাশিয়ার তিনটি ব্যাংককে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান। ব্যাংকগুলো হলো এসবার ব্যাংক, ক্রেডিট ব্যাংক অব মস্কো ও রাশিয়ান অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংক। এসবার ব্যাংক রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক।
নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবে রয়েছে রুশ সরকার পরিচালিত তিনটি গণমাধ্যমও। এই তিন গণমাধ্যমকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘মিথ্যা প্রচারকারী’ আখ্যা দিয়েছেন উরসুলা ফন ডার লিয়েন। গণমাধ্যমগুলোকে ইইউর কেবল টিভি, স্যাটেলাইট ও ইন্টারনেট সেবা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জানিয়েছেন, রাশিয়ার ৫৮ জন নাগরিকের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। ইউক্রেনের বুচা শহরে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে তাঁদের অনেকের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। অনেকে আবার মারিউপোল শহর অবরোধের সঙ্গে জড়িত।