নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী বলেছেন, কবিরহাট ও সুবর্ণচরের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে একটা শ্রেণি উঠে-পড়ে লেগেছে। যারা এমপিগিরি করার চিন্তা করেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র দাঁড়ালেও তারা হেরে যাবেন। দাঁড়াতে তো পারবেন না, কেন মানুষকে ধোঁকা দিতে কথা বলছেন?
তিনি বলেন, আমি উপরে (দলের হাইকমান্ডে) অনেক কথাবার্তা বলেছি, যারা আমাকে সরাতে চাইছেন, তারা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে থাকেন কী না, এটাও আমাদের দেখার বিষয় আছে। বেশি বাড়াবাড়ি ভালো না।
বৃহস্পতিবার বিকালে নিজ গ্রামের বাড়ি কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নে কবিরহাট ও সুবর্ণচরের নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন এমপি।
তিনি বলেন, আজকে কবিরহাটে আওয়ামী লীগ তিন ভাগে বিভক্ত, একধাপ নিয়ন্ত্রণ করছে এক গ্রুপ, একধাপ নিয়ন্ত্রণ করছেন রায়হান (পৌরসভার মেয়র), আর একধাপ নিয়ন্ত্রণ করছেন নজরুল। আমি শুক্রবার (আজ) মাইজদী দলীয় কার্যালয়ে যাব, শনিবার সুবর্ণচর যাব। শুধু এমপিগিরি করার জন্য ঢাকায় বসে থাকলে হবে না।
এমপি বলেন, অনেকে রাগ করেছেন, আমি কেন দুই আসনে নির্বাচন করার কথা বলেছি। দুই আসনের কথা বলেছি এজন্য- কবিরহাটের মানুষ অবহেলিত। এ অবহেলিত মানুষকে বুকের ভেতর টানার জন্য আমি এ ঘোষণা দিয়েছি। আমরা কবিরহাটে একজন নেতৃত্ব চাই।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে কবিরহাট জিরো পয়েন্টে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত পথসভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রায়হান (জহিরুল হক রায়হান), রুমিকে বলব (নুরুল আমিন রুমি), মুখে যা বলেছেন, তা কাজেই প্রমাণ করতে হবে। ঐক্য থাকলে আমাদেরকে কেউ সরাতে পারবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের এমপি আয়েশা ফেরদাউস, সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী, ফেনীর এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হান প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সদর সফর, নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় এবং পথসভাসহ কোনো অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন না এমপি একরামুল করিম চৌধুরী।